এইমাত্র
  • বিদেশি শিক্ষার্থী প্রবেশে আরও কঠোর পদক্ষেপ কানাডার
  • বাবা-মা ও ভাইয়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফাজ্জল
  • গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ, তথ্য যাচাই করছে পুলিশ
  • ইসরাইলকে ‘বিপর্যয়কর জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানের
  • সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, জাবির ৮ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
  • ফলো অনের শঙ্কা নিয়ে চা বিরতিতে টাইগাররা
  • কারাগারে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
  • খাগড়াছড়ির পর রাঙামাটিতেও সংঘাত, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • ফিরে এলেন আগের খতিব, নামাজের আগে নাটকীয়তা বায়তুল মোকাররমে
  • খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ২০
  • আজ শুক্রবার, ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি পুলিশের
    আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ সদরফতর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পিটুনিতে দুজন নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এমন হুঁশিয়ারি দেয়।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ হেডকোয়াটার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর থেকে পাঠানো ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোথাও কোথাও গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার নৃশংস ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধরনের মব জাস্টিস কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।কেউ অন্যায় করলে বা অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বিচারের বিধান রয়েছে জানিয়ে বলা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারও নেই। কোনো ব্যক্তি অন্যায় এবং অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।কোন ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধ করলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতেও বলা হয়। এছাড়াও আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সকলের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানায়। মব জাস্টিস বা গণপিটুনির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স দেশের সকল সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।এসএফ 
    দেড়শও তুলতে পারল না টাইগাররা
    চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান করেছে ভারত। তাই ফলো অন এড়াতে হলে বাংলাদেশকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অন্তত ১৭৭ রান করতে হতো। কিন্তু সেটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। দেড়শর আগেই অলআউট হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে বাংলাদেশকে ফলো অন না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।৪৭ ওভার ১ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানের লিড পেয়েছে ভারত।নতুন বলে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাফল্যের দেখা পেয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। ওভারের শেষ বলটি গুড লেংথে অফ স্টাম্পের ওপর করেছিলেন বুমরাহ। আউট সুইংয়ের আশায় ব্যাট উঁচিয়ে বল ছেড়ে দিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম, তবে তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হল। ইনসুইং করে অফ স্টাম্পে আঘাত হানে বল। ২ রান করে বিদায় নেন সাদমান।এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেশ সতর্ক ছিলেন জাকির হাসান-শান। তবে লাঞ্চ ব্রেকের ঠিক আগের ওভারেই জাকিরকে বোল্ড করেন আকাশ দীপ। ইনিংসের ৯ম ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে ইনসুইং করে জাকিরের মিডল স্টাম্প উপড়ে দেয়। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ৩ রান।পরের বলটিও একই জায়গায় করেন আকাশ, ফলাফলই এসেছে একই। ঠিক যেন আগের বলে কার্বন কপি। এবার শুধু ব্যাটার বদল, জাকিরের জায়গায় মুমিনুল হক। দুই ওপেনারের ব্যর্থতার দিনে গুরু দায়িত্ব ছিল মুমিনুলের কাঁধে। তবে ব্যর্থ হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটারও। গোল্ডেন ডাক খেয়ে দলের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন তিনি।লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। মোহাম্মদ সিরাজের আউট সুইং বলে খোঁচা মেরে দ্বিতীয় স্লিপে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩০ বলে ২০ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। শান্ত ফেরার পরের ওভারেই অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ১৪ বলে ৮ রান করে। বুমরার সুইং ও বাউন্স হওয়া বল মুশফিকের ব্যাটে লেগে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দুই হাতে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লোকেশ রাহুল।স্কোরবোর্ডে ৪০ রান তুলতেই প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন সাকিব আল হাসান-লিটন দাস। এই দুজনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে ২২ রান করে লিটন ফেরায় ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এরপর সাকিবও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩১তম ওভারে জাদেজার বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩২ রান করেছেন তিনি।এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানারা দ্রুত ফিরলে দেড়শর আগেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।  মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ২৭ রান করে।এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯১ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৭৬ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৩ রান করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাছাড়া ৮৬ রান এসেছে রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ৮৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার হাসান। তাছাড়া ৫৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন।

    জাতীয়

    সব দেখুন
    ফিরে এলেন আগের খতিব, নামাজের আগে নাটকীয়তা বায়তুল মোকাররমে
    খতিব জটিলতায় অনেকটা থমথমে পরিস্থিতিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আজ জুমার নামাজ আদায় করতে হয়েছে মুসল্লিদের। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক থাকা বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিন ফিরে আসার ঘটনায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমানে খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এ  সময় বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এতে করে মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তা ছাড়া আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন। অনেকে ওই সময় মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হলে সোয়া একটার দিকে আবার সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন।  এরপর থমথমে পরিস্থিতিতে নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা যায় মসজিদ থেকে স্লোগান দিতে দিতে একদল মুসল্লি বের হন। তারা ‌‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের মসজিদ এলাকা থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ান। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। এসএফ
    দীঘিনালায় সংঘাত : শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
    খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা।শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার পর এ অবরোধ শুরু হয়। এতে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।এর আগে সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। দীঘিনালায় বাঙালি-পাহাড়ি সংঘর্ষের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও সামরিকায়ন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা টিএসসিতে এসে জড়ো হতে শুরু করে। পরে তারা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।এ সময় নানা স্লোগানে টিএসসি এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। সংবিধানে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর, পর্যটনের নামে ভূমি দখলের প্রতিবাদ জানান তারা। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে আরও শক্তিশালী করার দাবিও ওঠে। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে যান।প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এ সময় ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। লারমা স্কয়ারে অন্তত ৬০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এসএফ
    আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি পুলিশের
    আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ সদরফতর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পিটুনিতে দুজন নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এমন হুঁশিয়ারি দেয়।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ হেডকোয়াটার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর থেকে পাঠানো ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোথাও কোথাও গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার নৃশংস ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধরনের মব জাস্টিস কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।কেউ অন্যায় করলে বা অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বিচারের বিধান রয়েছে জানিয়ে বলা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারও নেই। কোনো ব্যক্তি অন্যায় এবং অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।কোন ব্যক্তি অন্যায় বা অপরাধ করলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতেও বলা হয়। এছাড়াও আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সকলের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানায়। মব জাস্টিস বা গণপিটুনির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স দেশের সকল সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।এসএফ 
    নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যাদের বৈঠক হতে পারে
    জাতিসংঘের আসন্ন ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের কথা রয়েছে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ইউনূসের বৈঠকের বিষয়টি অনিশ্চিত।জাতিসংঘের আসন্ন ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নির্ধারিত বক্তৃতা দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর রাতে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।কূটনৈতিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক করবেন। এছাড়া, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক শফ, বাহরাইনের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ বিন ইসা আল খলিফা, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা।পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডিসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রধানেরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন। খসড়া সূচি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন ড. ইউনূস।জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপ্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে আগামী মঙ্গলবার নিউইয়র্কে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করছে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। এর পাশাপাশি নিউইয়র্কে অবস্থানের সময় প্রধান উপদেষ্টা সামাজিক ব্যবসা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়ী পরিষদের সভায় অংশ নেবেন।এসএফ 
    প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন দুই সাংবাদিক
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দুই সাংবাদিককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, এই দুই সাংবাদিককে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) জাতীয় বেতনের স্কেল, ২০১৫ এর গ্রেড-৯ ভুক্ত ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা স্কেলের সর্বোচ্চ ধাপ ৫৩০৬০ টাকা নির্ধারিত বেতনে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত দুই সাংবাদিক হলেন ডেইলি স্টার পত্রিকার সাব এডিটর/রিপোর্টার সুচিস্মিতা তিথি ও ভিজুয়াল সাংবাদিক/রিপোর্টার নাইম আলী।উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক সুচিস্মিতা তিথি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে দ্য ডেইলি স্টারে সাংবাদিকতা করছেন। অপরদিকে নাইম আলী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক।এফএস
    সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার
    বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত তার নিজ বাড়ি হিজল করচ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক এ মন্ত্রীকে। গ্রেপ্তারের পরে এম এ মান্নানকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এম এ মান্নানকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ শহরে গত ৪ আগস্ট বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর হাফিজ আহমদ নামে এক ব্যক্তি দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। বাদীর ভাই শিক্ষার্থী জহুর আহমদ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।এফএস
    চট্টগ্রামের এমপি মিতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
    অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অপর দু’জন হলেন কুমিল্লা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিমুল আলম চৌধুরী ও যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র জহুরুল ইসলাম চাকলাদার ওরফে রেন্টু চাকলাদার। দুদকের গোয়েন্দা শাখার গোপন অনুসন্ধানে এদের অবৈধ সম্পদের তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আখতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।জানা গেছে, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এলাকার আলোচিত সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতার বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান করে দুদক। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তখন তার অভিযোগ পরিসমাপ্তি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নড়েচড়ে বসে দুদক। একের পর এক সংস্থাটি সাবেক মন্ত্রী, এমপিদের দুর্নীতির প্রকাশ্যে অনুসন্ধানে টিম গঠন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার কমিশন থেকে মিতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ-সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দুর্নীতিতে বেপরোয়া ছিলেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল ৪৭ লাখ ৫ হাজার ৮০৫ টাকা। উক্ত আয় ১০ বছরে বেড়ে দাড়িয়েছে ৯৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮২৪ টাকা। যা ২০১৪ সালের বার্ষিক আয়ের তুলনায় ১০১ দশমিক ২ পার্সেন্ট বেশি। আর অস্থাবর সম্পদ ২০১৪ সালের তুলনায় ১৯৯ দশমিক ২৩ পার্সেন্ট বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তার স্ত্রী মাহমুদা মাহফুজের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা। যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাড়িয়েছে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৮ টাকা। অর্থ্যাৎ তার আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯০ দশমিক ১১ পার্সেন্ট। আর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২৯ দশমিক ৫ পার্সেন্ট। তাদের নামে পূর্বাচলে প্লট, মতিঝিলে ৫ কাঠায় জায়গার উপর ভবন, দিয়া বাড়িতে ৫ কাঠার প্লটসহ বিপুল সম্পদ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তিনি অর্থ পাচার করেছেন বলেও তথ্য পেয়েছে দুদক। কুমিল্লা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাসিমুল আলম চৌধুরী (নজরুল) তার নিজ নামে জিও টেক্সটাইল লি. কোম্পানিতে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ঢাকার বনানী ডিওএইচএস ও নিকুঞ্জতে তার দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, কুমিল্লার বড়ুরা বাজারে ১৭টি দোকান, দুইটি বহুতল বাড়িসহ নামে বেনামে বিপুল সম্পদ রয়েছে।অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র রেন্টু চাকলাদারের বিরুদ্ধে। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে তার বা পৈত্রিক বলার মতো তেমন সম্পদ ছিল না। ২০১৬ সালে পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তিনি ২০১৮ সালে শহরে একযোগে ৭২টি সড়ক নির্মাণ বাতি স্থাপনের কাজে নজিরবিহীন দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ লোপাট করেছেন। অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি শহরের আরবপুর এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমির উপর বিশাল বাগান বাড়ি, রূপদিয়া এলাকায় ২০ বিঘা জমির উপর ফিড মিল, শহরের কাজীপাড়ায় নজরকারা অট্টালিকা তৈরি করেছেন। এসএফ 
    মার্টিনের ঢাকা সফর শেষ, ২৩০ কোটি ডলার সহায়তা নিয়ে আলোচনা
    অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এর অংশ হিসাবে চলতি অর্থবছরে ২৩০ কোটি (২ দশমিক ৩ বিলিয়ন) ডলার অর্থায়ন কর্মসূচি নিয়ে কাজ চলছে। সংস্থাটির দক্ষিণ এশীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন। দুদিনের সফরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ভাইস প্রেসিডেন্ট তার সফর শেষ করেছেন। দেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। আরও বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের চলতি অর্থবছরের জন্য প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি বলেছেন, এই অর্থায়ন বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে, সাম্প্রতিক বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার, উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সরকারি ও আর্থিক খাতের সংস্কার, একটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি খাত গড়ে তুলতে এবং বায়ুর গুণমান ও স্বাস্থ্যের ফলাফল উন্নত করতে সহায়তা করবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রেইজার বলেন, বাংলাদেশের কাছে এমন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নের সুযোগ রয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে সমাধান করা হয়নি। বিদ্যমান এবং নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা অর্থনৈতিক সুশাসনের উন্নতি এবং প্রতি বছর চাকরির বাজারে প্রবেশকারী ২ মিলিয়ন বাংলাদেশি যুবকের জন্য আরও ভালো কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মনোযোগ দিচ্ছি। এ সময় রেইজার জুলাই ও আগস্টে মর্মান্তিক প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক গুরুতর আহত ছাত্র ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় জরুরি সহায়তার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক পূর্বাঞ্চলীয় জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও জীবিকা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে। তিনি মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা প্রায় এক মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশের উদার সিদ্ধান্তের জন্যও প্রশংসা করেন। বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য ৭০ কোটি ডলারের কর্মসূচি অনুমোদন করেছে।সফরকালে রেইজার অর্থ উপদেষ্টা, জ্বালানি উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তুলতে, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে এবং সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা উন্নত করতে সহায়তা করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন।এসএফ 

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    যে প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরবেন তারেক রহমান
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ ছাড়েন ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘ ১৬ বছর সপরিবারে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।তখন দেশ ছাড়ার আগে-পরে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়। যেখানে যাবজ্জীবনসহ চার মামলায় তাকে বিভিন্ন সাজাও দেওয়া হয়। এছাড়া তখন দেশের কোনো গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত।     তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ওইদিনই দেশের সব গণমাধ্যম তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করা হয়। বিএনপির সিনিয়র নেতারাও জানান, খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। কিন্তু ৪৫ দিন পার হলেও তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর আইনি বাধা কাটেনি।এবার তারেক রহমানের সম্মতি পেলে তার সাজা স্থগিত চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অবশ্য তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরবেন তিনি। কবে নাগাদ ফিরবেন সে সিদ্ধান্তও তিনি নেবেন। দলটির আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, তারেক রহমানের সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। সম্মতি পেলেই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ করে তারেক রহমানের সাজা স্থগিতের আবেদন করা হবে সরকারের কাছে। এ ধারা প্রয়োগ করেই বেগম খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ সরকার। তবে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আইনি পথে ছাড়া অন্য কোন পথে ফিরবেন না তারেক রহমান। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যে কারণে ওনার বিরুদ্ধে যেসব মামলার রায় হয়েছে, সেগুলো তিনি আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন। আর যেগুলোর রায় হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে আইনগতভাবে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’আর ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বললেন, তারেক রহমানের উচিত দেশে ফিরে মামলা বাতিলের আবেদন করা।তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনি। এছাড়া আরও ৫টি মামলার বিচার শেষে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। আর কিছু মামলা স্থগিত রয়েছে। তবে কোনো মামলাতেই তিনি সাজা ভোগ করেননি। তাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার হয়েছে এসব মামলার।এবি 
    যে প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরবেন তারেক রহমান
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ ছাড়েন ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘ ১৬ বছর সপরিবারে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।তখন দেশ ছাড়ার আগে-পরে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়। যেখানে যাবজ্জীবনসহ চার মামলায় তাকে বিভিন্ন সাজাও দেওয়া হয়। এছাড়া তখন দেশের কোনো গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত।     তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ওইদিনই দেশের সব গণমাধ্যম তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করা হয়। বিএনপির সিনিয়র নেতারাও জানান, খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। কিন্তু ৪৫ দিন পার হলেও তারেক রহমানকে দেশে ফেরানোর আইনি বাধা কাটেনি।এবার তারেক রহমানের সম্মতি পেলে তার সাজা স্থগিত চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অবশ্য তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরবেন তিনি। কবে নাগাদ ফিরবেন সে সিদ্ধান্তও তিনি নেবেন। দলটির আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, তারেক রহমানের সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। সম্মতি পেলেই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা প্রয়োগ করে তারেক রহমানের সাজা স্থগিতের আবেদন করা হবে সরকারের কাছে। এ ধারা প্রয়োগ করেই বেগম খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ সরকার। তবে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আইনি পথে ছাড়া অন্য কোন পথে ফিরবেন না তারেক রহমান। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যে কারণে ওনার বিরুদ্ধে যেসব মামলার রায় হয়েছে, সেগুলো তিনি আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন। আর যেগুলোর রায় হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে আইনগতভাবে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’আর ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এস এম শাহজাহান বললেন, তারেক রহমানের উচিত দেশে ফিরে মামলা বাতিলের আবেদন করা।তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনি। এছাড়া আরও ৫টি মামলার বিচার শেষে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। আর কিছু মামলা স্থগিত রয়েছে। তবে কোনো মামলাতেই তিনি সাজা ভোগ করেননি। তাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার হয়েছে এসব মামলার।এবি 
    দিল্লির পার্কে কার সঙ্গে দেখা গেল হাসিনাকে?
    ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন। তবে দেশটির ঠিক কোথায় তিনি অবস্থান করছেন সেটি এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে ভারত সরকার নীরব।শেখ হাসিনাকে নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন হাসিনা। এমনকি তাকে তার দলবলসহ দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনেও ঘুরতে দেখা গেছে।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী পালাতে বাধ্য হওয়ার পর থেকে নয়াদিল্লির নৈশভোজের অনুষ্ঠানগুলোতে যে ইস্যুটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে তা হলো— শেখ হাসিনা এখন কোথায়?গত ৫ আগস্ট বিক্ষোভকারীরা যখন তার ঢাকার বাসভবনের দিকে মিছিল সহকারে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশি সামরিক বিমানে করে ভারতের গাজিয়াবাদের কাছে একটি বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে নামেন। নরেন্দ্র মোদির সরকার তখন থেকে নিশ্চিত করেছে, তিনি ভারতেই আছেন।তবে হাসিনার বিষয়ে আরও কিছু বলতে বরারবরই অস্বীকার করছে ভারতীয় সরকার। তবে এটি হাসিনার অবস্থান নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বন্ধ করতে পারেনি।বিভিন্ন মাত্রার বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে ভারতের এই আড্ডাবাজ ক্লাসের সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে দাবি করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সরকারের একটি সেফ হাউসে রয়েছেন; তিনি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে থাকছেন যিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লিভিত্তিক পদে আঞ্চলিক চাকরি নিয়েছেন; এমনকি তাকে (হাসিনাকে) তার দলবলের সঙ্গে দিল্লির অন্যতম সেরা পার্ক লোদি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে।আওয়ামী লীগ যখন বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল তখন হাসিনার শীর্ষ বিদেশী সমর্থক ছিল মোদি সরকার। হাসিনার পালিয়ে আসার কথা স্বীকার করলেও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান বা অন্যান্য বিষয়ে নীরবতা বজায় রেখেছে তারা। দিল্লির দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো বেশিরভাগই এমন দাবিও করা বন্ধ করে দিয়েছে যে— ক্ষমতাচ্যুত-পরবর্তী সময়ে তারা শেখ হাসিনার প্রথম সাক্ষাৎকার পাবে।এর কয়েকটি কারণ রয়েছে। হাসিনার পতনের পর ক্ষমতা গ্রহণ করা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত জুলাই-আগস্টে আন্দোলন-বিক্ষোভের সময় শত শত মানুষের হত্যাকাণ্ডের জন্য তাকে দায়ী করেছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে— যা ২০১৩ সালে হাসিনার নিজের সরকারের সময়েই স্বাক্ষরিত— যেটি তত্ত্বগতভাবে হাসিনার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা যেতে পারে যদি বাংলাদেশের নতুন সরকার তাকে গ্রেফতার করতে চায়।এসএফ
    সব জায়গায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া ঠিক হবে না: মির্জা ফখরুল
    দেশের সব জায়গায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া ঠিক হবেনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পতনের আন্দোলনে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের সাথে সাক্ষাত ও সাহায্য করণ অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি। তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার সেসব এলাকায় দেয়া দরকার যেগুলো নিয়ন্ত্রণ বাইরে চলে গেছে। যেসব এলাকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে রাজনৈতিক নেতারা নিয়ন্ত্রণ করছেন সেখানে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে নতুন সমস্যা সৃষ্টি করা সমীচীন বা বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা। এ সরকারকে বিষয়টি পূর্ণ বিবেচনা করা প্রয়োজন।  অন্তবর্তী সরকারের কাছে শেখ হাসিনার বিচার চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্তানের সাথে ২৪ সালে যুদ্ধ করতে হল দেশের একটি রাজনৈতিক দলের সাথে। স্বৈরাচার হাসিনা ২০১২ সাল থেকে আমাদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে৷  ৭০০ বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সহ সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিঃস্ব করা হয়েছে। তাদের আমলে ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ জনকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি নির্বাচন চাই। আগামীতে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও পার্লামেন্ট দেখতে চাই৷ যাতে রাজনীতিবিদেরা কাজ করতে পারেন রাজনৈতিক অবস্থা ফিরে আসে৷ সেই সাথে আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি। এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আরইউ
    খা‌লেদা জিয়া‌কে লন্ডনে চিকিৎসার প্রস্তুতি
    বিএন‌পি চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া‌কে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ড‌নে আনতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন তার চিকিৎসকরা। এজন্য খোঁজা হ‌চ্ছে আই‌সিইউ ও সি‌সিইউ সুবিধাসহ চার্টার্ড এয়ার অ্যাম্বু‌লেন্স। সাধারণ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ক‌রে তাকে দীর্ঘ ভ্রমণ ক‌রি‌য়ে লন্ড‌নে আনার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না চিকিৎসকরা। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলের যুক্তরাজ্য কমিটির সভাপতি এম এ মালেক ব‌লেন, চি‌কিৎসার জন‌্য যেখা‌নেই যান না কেন, শুরু‌তে তি‌নি লন্ড‌নেই আস‌বেন।বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তার বাসভবন ফিরোজায় নেওয়া হ‌বে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তার চিকিৎসায় গ‌ঠিত মে‌ডিক্যাল বো‌র্ডের কা‌ছে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের জন্য তা‌কে দে‌শের বাইরে নেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।আগের দিন মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে দেখতে যান সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ইউকে’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ। বুধবার এই প্রতিবেদককে বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা স্বীকার করলেও বেগম জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি যুক্তরাজ্য প্রবাসী এই নেতা। তিনি বলেন, আমি নেত্রীকে একনজর দেখার জন্য দেশে এসেছি।খা‌লেদা জিয়ার ছোট ছে‌লের বউ শ‌র্মিলা রহমান সি‌থি এ মুহূর্তে দে‌শে থেকে খা‌লেদা জিয়ার চি‌কিৎসার দেখভাল কর‌ছেন ব‌লে একা‌ধিক সূত্র নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।এদি‌কে বারবার হাসপাতা‌লে আন‌লে হাসপাতাল থে‌কে সংক্রমণ ছড়া‌নোর ঝুঁকি থা‌কে ব‌লে হাসপাতা‌লে আনার ক্ষে‌ত্রেও সতর্ক তার চিকিৎসকরা। এ কারণে বহু সাক্ষাৎপ্রার্থী চাইলেও হাসপাতা‌লে দেখা পাচ্ছেন না বেগম জিয়ার।খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন। লন্ডনের মরফিল্ড হাসপাতালে তার চোখের অপারেশন হয়। তিনি সেখানে হাঁটুর চিকিৎসাও নিয়েছেন।এসএফ 
    গোপনে দেশ ছেড়েছেন আ.লীগের যেসব নেতা
    গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা না আসায় প্রথমে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান তারা, কয়েক দিনের মধ্যেই দেশ ছাড়তে শুরু করেন সাবেক সরকারের আমলের নেতাকর্মীরা।শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পেরিয়ে গেছে এক মাসেরও বেশি সময়। এখনো আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য অবৈধভাবে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। যারা পালিয়ে গেছেন বা পালানোর চেষ্টায় আছেন, তাদের প্রায় সবাই হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, সরকার পতনের এত দিন পরও কীভাবে এসব ব্যক্তি দেশ ছেড়ে পালাতে পারছেন।আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধরাও পড়েছেন কেউ কেউ। সীমান্ত পার হতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে ৫ আগস্টের কিছুদিন আগে বিদেশে পাড়ি জমিয়ে আর দেশে ফেরেননি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের এমন ১৩ নেতা রয়েছেন।৫ আগস্টের পর দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের এমন অন্তত ১৫ কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের নাম বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। অবৈধ পথে দেশ ছাড়ায় ইমিগ্রেশন বিভাগের নথিতে তাদের দেশত্যাগের তথ্য নেই। এর বাইরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের মধ্যে অন্তত ২৭ জনের দেশ ছাড়ার খবর জানা গেছে। তবে দেশ ছেড়ে পালানো ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা কয়েকশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সীমান্ত পাড়ি দিয়েছেন। আর ৫ আগস্টের ঠিক পরপরই দেশত্যাগ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিম ও আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অনেকে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আরও বেশ কয়েকজন নেতার দেশ ছাড়ার গুঞ্জন রয়েছে। তবে তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ৩ আগস্ট রাতে পরিবারসহ দেশ ছাড়েন। তিনি ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর যান। তার পরিবার পৃথক ফ্লাইটে যায় লন্ডনে। তাপসের ভাই যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ সরকার পতনের কয়েক দিন আগে, ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছিলেন। তিনি দেশে আছেন বলে জানা গেছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও আন্দোলনের সময় সপরিবার সিঙ্গাপুরে চলে যান।এছাড়া এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আরও যেসব নেতার দেশত্যাগের খবর পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, শেখ হাসিনার সাবেক বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি। এ ছাড়া সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার এবং ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীও দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।এই তালিকায় আরও রয়েছেন- ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জয়দেব নন্দী।সূত্র : প্রথম আলো 
    বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
    মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবনে ফিরবেন তিনি।বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।এর আগে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় খালেদা জিয়াকে। কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।এবি 
    গণতন্ত্র ও বিএনপি সমার্থক: মির্জা ফখরুল
    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র আর বিএনপি দুটি সমার্থক। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি প্রথম তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল। তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে আমাদের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির বহু নেতা নির্বাসিত হয়েছেন। আজকে আমরা যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি সেটা যেন হেলায় চলে না যায়। আজকে সরকারে যারা আছেন তাদের বলব- এখনও ফ্যাসিস্ট সরকারের অনেকে তাদের চেয়ারে বসে আছে। এরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাধা হয়ে নানা ষড়যন্ত্র করতে চাচ্ছে। তাদের দ্রুত চেয়ার থেকে সরাতে হবে।মির্জা ফখরুল বলেন, পাশাপাশি ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে যারা আহতে হয়েছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুনবাসনের দাবি জানাচ্ছি বর্তমান সরকারের প্রতি।এসএফ

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
    রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার কাটাসুর এলাকায় বাসায় ঢুকে শাহাদাত হোসেন (২০) নামে এক যুবককে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।মঙ্গলবার(১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কাটাসুরের গ্রীণভিউ হাউজিং এ এই ঘটনা ঘটে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান। তিনি বলেন, শাহাদাত নামের এক যুবককে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত শাহাদাতকে স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।তিনি আরও বলেন, কে বা কারা শাহাদাতকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু জানা যায়নি। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত কাটাসুর এলাকায় শাহাদাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। জীবন বাঁচাতে ওই সময় শাহাদাত একটি বাসায় ঢোকেন। কিন্তু তারপরও দুর্বৃত্তরা তাকে কোপাতে থাকে।এমআর
    রাজধানীতে ট্রাফিক আইন ভঙ্গে ১৫২ মামলা, প্রায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা
    একদিনে ঢাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫২টি মামলা ও ৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে  পুলিশ।মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. ওবায়দুর রহমান এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাত-দিন কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫২টি মামলা ও ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এছাড়া অভিযানকালে ৩৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার টাকা।সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।ঢাকা মহানগরীতে বেশ কয়েকদিন ধরেই যানজটে নাভিশ্বাস অবস্থা নগরবাসীর। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সবগুলো ট্রাফিক বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় যারা সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ। এই পক্রিয়া ধীরে ধীরে আরো কঠোর হবে।পিএম
    মাজারে হামলা করে সুফিবাদী জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না
    আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মাজার-দরগাহে লুটপাট ও ভাঙচুরের মতো গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় মাজার ও বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয় রক্ষায় নিরাপত্তা জোরদারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।  এই সময় মাজারে হামলা করে শান্তিপ্রিয় সুন্নি সুফিবাদী জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ইমাম আন্জুমানের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির-বিএসপি চেয়ারম্যান শাহ্জাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ইসলাম কায়েম হয়েছে উদারতায়। সুফি সংস্কৃতি ও মাজারগুলো হলো ইসলামের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক।   সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষ্যে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারী আয়োজিত শোভাযাত্রার আগে এসব কথা বলেন সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।এর আগে বেলা ১১টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে তার নেতৃত্বে হাজারও মানুষের অংশগ্রহণে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রা শুরু। শোভাযাত্রাটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় নবী প্রেমিক জনতার বিভিন্ন ইসলামিক হামদ, নাত ও স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাজপথ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলেমা তৈয়াবা, জাতীয় পতাকা, আন্জুমানের পতাকা এবং নানা ধরনের বাণী ও স্লোগান লিখিত ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়।শোভাযাত্রা শুরুর আগে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী বলেন, পৃথিবী থেকে অন্ধকার অনাচার ব্যভিচারসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ দূর করতে আলোর মশাল নিয়ে শুভাগমন করেন বিশ্ব মানবতার ত্রাণকর্তা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনিই পৃথিবীতে সাম্য মৈত্রী সুবিচার এবং সমতাভিত্তিক মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলেন। তাই মহানবীর (সা.) এ দুনিয়ায় শুভাগমন সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ।তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মেই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার সুখ সমৃদ্ধি শান্তি কামনা করা হয়েছে। এমন কোনো কাজ করতে বলা হয়নি যাতে করে ইসলামের অবমাননা করা হয়। কোরআনে বলা হয়েছে কারো ওপরে জোর-জবরদস্তি করে যেন ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া না হয়। কারো ধর্মীয় স্বাধীনতা যেন বিনষ্ট না হয়। আমরা সুন্নি সুফিবাদী জনতা নবী প্রেমিক উদার মুসলিম। আমরা উগ্রতা ও হটকারীতায় বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি ইসলাম কায়েম হয়েছে উদারতায়। সুফি সংস্কৃতি ও মাজার হলো ইসলামের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক। তাই যারা অলি আউলিয়ার মাজার, খানকাহ, দরগাহ শরীফে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছেন, আপনারা এই গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকুন। সুন্নি সুফিবাদী জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।তিনি আরও বলেন, ৩৬০ আউলিয়ার এই দেশে ইসলাম এসেছে খানকাহ, দরগাহে অবস্থান করা অলি আউলিয়ার কাছ থেকেই। অলি আউলিয়ারাই খানকাহর পাশাপাশি মাদ্রাসা ও মসজিদ নির্মাণ করে ইসলাম প্রচারে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের দেশ পীর আউলিয়ার দেশ। এখানে রয়েছে হজরত শাহজালাল, হজরত শাহপরান, হজরত গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী, গাউছুল আযম বাবাভাণ্ডারী, শাহ্ মুখদুম, খানজাহান আলী, শাহ্ আলী বাগদাদী, খাজা এনায়েত পুরী, আমানত শাহ্, সুরেশ্বরী, বদরশাহ্, মোহছেন আউলিয়াসহ অসংখ্য জগদ্বিখ্যাত আউলিয়া কেরামের মাজার। মাজার ভেঙে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ঘরদুয়ার ও মন্দিরে হামলা করে ধর্মকে অবমাননা করা হচ্ছে। এতে বিশ্ববাসীর কাছে আমরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করছি। আমি সবার কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যার যার মতকে প্রাধান্য দিন। ভিন্ন মতের ওপর জুলুম কিংবা জোর জবরদস্তি থেকে বিরত থাকুন। ইসলাম মানুষকে সত্য, সুন্দর, শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখায়।সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, আর যেন উগ্রবাদীরা দেশের একটি মাজারেও হামলা করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব মাজার, খানকাহ ভাঙা হয়েছে সেগুলো পুনর্নির্মাণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা এই অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতি মাওলানা মাকসুদুর রহমান, শাহ্জাদা সৈয়দ মাহবুব-এ-মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান খান মিয়াজি, অধ্যাপক ড. শহীদ মনজু, আন্জুমান সাধারণ সম্পাদক খলিফা মো. আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা মুফতি খাজা বাকীবিল্লাহ আল-আযহারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকার, অতিরিক্ত মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।এবি 
    আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বন্ধ হওয়া অধিকাংশ গার্মেন্টস খুলেছে আজ
    শ্রমিক অসন্তোষের মুুখে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ২১৯ টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে আজ বন্ধ কারখানা গুলোর অধিকাংশ খুলেছে, শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতিও অনেকটাই স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।  শনিবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, শিল্পাঞ্চলে আজ কোথাও কোন সড়ক অবরোধসহ কারখানায় হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক রয়েছে। শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ থাকা ৮৬টি কারখানার বন্ধ ৫০টি খুলেছে। আর সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়া বাকী ১৩৩টি কারখানার মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ কারখানায় আজ খোলা রয়েছে। শুধু ১৩ টি কারখানায় এখনও সাধারণ ছুটি রয়েছে। তিনি আরও জানান, শিল্পাঞ্চলে যে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা গুলোর সামনে  মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।এবি 
    এক দফা দাবিতে নার্সদের মানববন্ধন, কর্মবিরতির হুমকি
    নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ নার্সদের নিয়োগ দিতে এক দফা দাবিতে আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। দাবি না মানলে কর্মবিরতির হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা।সম্প্রতি নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের করা এক ব্যক্তব্য ঘিরে আন্দোলন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবারের কর্মসূচি ছিল। সমাবেশে বক্তারা তাদের এক দফা দাবি পূরণের জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। আন্দোলনকারী নার্সরা জানান, আগে এই দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও ১২ সেপ্টেম্বর পুনরায় একজন নন-নার্স প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার পদে পদায়ন করা হয়েছে, যা নার্সদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।ঢাকা মেডিকেলের সামনে ছাড়াও আজ দেশব্যাপী সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নার্সরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। নার্সদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, আগামীকাল রবিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে তাঁরা কর্মবিরতির মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতেও প্রস্তুত।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে নার্সদের অভাবে রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হতে পারে, যা দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যখাতের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় দেখে আনতে পারে। গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের পেশাকে নিয়ে কটূক্তি করেন। যেখানে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা প্রদানকে ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোল শুরু হয় নার্সদের।এবি  
    শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জলবায়ু অর্থায়নের দাবিতে বাই-সাইকেল র‌্যালি
    জলবায়ু অর্থ হতে হবে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে। বর্তমানে অধিকাংশ জ্বালানির উৎস হলো নোংরা এবং ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানি, যা বৈশ্বিক উষ্ণতাকে বাড়াচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি জলবায়ুকে প্রভাবিত করছে। জি-৭ দেশগুলো বারবার দাবি করছে তারা জলবায়ু অর্থ প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্ত তারা ক্রমাগতভাবে তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মোংলার মিঠাখালি বাজারে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত জলবায়ু অর্থায়ন এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ফেইজ আউট শীর্ষক বাই-সাইকেল র‌্যালি এবং বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।সমাবেশে সভাপতিত্ব এবং প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার জলবায়ুযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর নাজমুল হক, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর নাজমুল হক, গীতিকার মোল্লা আল মামুন, মারুফ বিল্লাহ, হাছিব সরদার, মেহেদী হাসান বাবু প্রমূখ। বাই-সাইকেল র‌্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন জলবায়ু ঋণ বাতিল করতে হবে। যুদ্ধের খরচ কমিয়ে জলবায়ু অর্থায়ন বাড়াতে হবে। সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তব্য পশুর রিভার ওয়াটারকিপার জলবায়ুযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। জলবায়ু উষ্ণতা থেকে আমরা বাঁচতে চাই। মিলিয়ন নয়, বিলিয়ন ডলারে জলবায়ু অর্থায়ন করো। পশ্চিমা দেশগুলিকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি জলবায়ু তহবিল প্রদান করতে হবে। বাই- সাইকেল র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানি বিরোধী এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নানা রঙের ফেস্টুন-প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।আরইউ
    যশোরে সাবেক এমপির নামে মাছ লুটের মামলা
    যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সাবেক এমপি এসএম ইয়াকুব আলীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে  আদালতে মামলা হয়েছে। ঘের থেকে মাছ লুটের অভিযোগে মণিরামপুর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের মৃত এমএ রাজ্জাকের ছেলে মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই মামলা করেছেন। মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন- মণিরামপুরের কাজিয়াড়া গ্রামের মৃত কলিম দফাদারের ছেলে আব্দুল হালিম, মৃত ইন্তাজ গাজীর ছেলে খলিলুর রহমান, মৃত আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে ফসিয়ার রহমান ও মনিরুদ্দিন গাজীর ছেলে ফারুখ হোসেন।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান কাজিয়াড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম সাথে নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে পেড়োলী বিলে ১৮ বিঘার একটি ঘেরে মৎস্য চাষ করে আসছেন। আসামিদের সাথে তাদের পূর্ব শত্রুতা চলছিল। এরই জের ধরে গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে আসামিরা তাদের ঘেরে জাল ফেলে মাছ লুট করতে থাকে। তখন মনিরুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম সংবাদ পেয়ে ঘেরে যেয়ে মাছ ধরতে বাধা দেন।এ সময় আসামিরা সাবেক এমপি এসএম ইয়াকুব আলীর হুকুমে অন্য আসামিরা তাদের মারধর করেন এবং প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি আদালতে  মামলাটি করেছেন।আরইউ
    নিলামে তোলা হচ্ছে মোংলা বন্দরে আমদানি হওয়া ৪০টি গাড়ি
    নিলামে তোলা হচ্ছে বিদেশ থেকে মোংলা বন্দরে আমদানি হওয়া ৪০টি রিকন্ডিশন গাড়ি। যে কেউ আগামী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মোংলা কাস্টমস হাউস, খুলনা ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট এবং চট্রগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট শিডিউল জমা দেওয়া ছাড়াও বাংলাদেশ কাস্টমস এর ই-অকশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিলামে অংশ নিতে নিবন্ধন করে বিড করতে পারবেন।আগামী রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিলামে অংশগ্রহকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার নামের তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি করা হবে। আমদানি হওয়া গাড়ি ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও আমদানিকারকরা তা করেননি। তাই গাড়ি ছাড় না করায় কাস্টমস নিয়মানুযায়ী গাড়িগুলো পর্যায়ক্রমে নিলামে উঠানো হচ্ছে।এই তথ্য জানিয়ে মোংলা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মো. রুবেল হাসান বলেন, নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে রয়েছে-হাইয়েচ, ডাম্প ট্রাক, মাইক্রোসহ বিভিন্ন গাড়ি। আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় মোংলা কাস্টমস হাউস গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে বলে জানান তিনি।  এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সর্বশেষ গত রোববার (১৮ আগষ্ট) নিলামে তোলা হয় ১৯ টি বিলাসবহুল নামিদামি গাড়ি। সেসময় নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে ছিল-শিন, পাজারো, এক্সিও, হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, অ্যাকোয়া হাইব্রিড, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের গাড়ি। এরমধ্যে ১০টি গাড়ির বিক্রয় আদেশ দেওয়া হয়।  মোংলা কাস্টমস সুত্র জানায়, মোংলা কাস্টমস হাইসের রাজস্ব আয়ের ৫২ শতাংশ আসে মোংলা বন্দর থেকে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে শুল্ক আদায় ব্যহত হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক সুত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৩ জুন হকস বে অটোমোবাইল কোম্পানি প্রথম ২৫৫ রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানির মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরে গাড়ি রাখার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বন্দরে জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে এক লাখ ৮৭ হাজার ৮৫১টি রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি করা হয়। এর মেধ্যে এক লাখ ৮৬ হাজার ৯২৪টি গাড়ি খালাস করা হয়েছে। বাকি এক হাজার ৯২৭টি গাড়ি মোংলা বন্দর জেটির বিভিন্ন ইয়ার্ডে রাখা আছে।পিএম
    কুষ্টিয়ায় বিলে বেড়াতে গিয়ে নৌকা থেকে পড়ে নিহত ২
    কুষ্টিয়ার চাপাই গাছি বিলে বেড়াতে গিয়ে নৌকা ডুবিতে ফুফু-ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নে আলিনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।  নিহতরা হলো- ওই গ্রামের নায়েব আলীর মেয়ে অনামিকা (১৫) ও গোলাম আলীর মেয়ে নাজনীন (১১)।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাপাইগাছি বিলে গতকাল নৌকা ডুবে আলিনগর গ্রামের ৩ জন নিখোঁজ হয়। স্থানীয়রা একজনকে জীবিত উদ্ধার করে। ৩ ঘন্টা পর বাকি ২ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা খুরশিদ আলম বলেন, ‘রাত ৭টার দিকে পরিবারের লোকজন নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের জানায়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ দুজনের লাশ পাওয়া গেছে।’ ঝাউদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, বিকেলে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের চাপাইগাছি বিলে বেড়াতে যায় ফুফু অনামিকা, ভাতিজি নাজনীনসহ তিনজন। এ সময় বিলে নৌকা ভ্রমণের সময় অসতর্কতাবশত পানিতে পড়ে যায় ফুফু-ভাতিজি। বিলে পানি বেশি থাকায় এবং সাঁতার না জানায় পানিতে তলিয়ে যায় তারা।পিএম
    অসুস্থ্য ভাগিনাকে দেখতে এসে লাশ হলেন মামী
    চুয়াডাঙ্গায় অসুস্থ্য ভাগিনাকে দেখতে এসে লাশ হলেন খোদেজা খাতুন (৫৫) নামে এক গৃহবধূ। ভাগিনার বাড়ির ধানঝাড়াই মেসিনের ফ্যানে কাপড় জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলার জীবননগর উপজেলার সুবলপুর গ্রামে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত খোদেজা খাতুন ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার বলদিয়া গ্রামের মৃত জাকারিয়ার স্ত্রী।জীবননগর পৌরসভার সুবলপুর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আপিল মাহমুদ জানান, সুবলপুর গ্রামের রনক আলীর ছেলে আশাদুল ইসলাম (৩০) খোদেজা খাতুনের ভাগিনা। আসাদুল ইসলাম বেশকিছু দিন থেকে অসুস্থ্য। অসুস্থ্য ভাগিনা আশাদুলকে দেখতে খোদেজা ৩ দিন আগে সুবলপুর গ্রামে আসেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আশাদুলের পিতা রনক আলী বাড়িতে ধানঝাড়া মেসিন দিয়ে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিলেন। বেলা ১১টার দিকে অসাবধনতাবশতঃ খোদেজা খাতুন ধানঝাড়াই মেসিনের ফ্যানের নিকট গেলে তাতে তার শরীরের শাড়ীকাপড় জড়িয়ে যায়। এসময় ফ্যানের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ফ্যানের আঘাতে মৃত্যু হওয়া খোদেজা খাতুনের শরীরের একপাশ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।এ ব্যপারে জীবননগর থানায় একাধিক বার মোবাইল করা হলে ফোন রিসিভ না করায় পুলিশের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এইচএ
    খাগড়াছড়ির পর রাঙামাটিতেও সংঘাত, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
    খাগড়াছড়িতে সহিংসতার উত্তাপ ছড়িয়েছে পাশের জেলা রাঙামাটিতেও। শহরের জিমনেসিয়াম চত্বর থেকে কয়েক হাজার পাহাড়ির একটি মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ তুলে বাঙালিদের বেশ কিছু দোকানপাটে হামলা চালানো হয়েছে। আজ (শুক্রবার) সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাস্তায় চলাচলকারী বাস, ট্রাক ট্যাক্সিতেও হামলা করা হয়। শহরের হ্যাপির মোড়কে কেন্দ্র করে এর দুদিকে অবস্থান নেন পাহাড়ি ও বাঙালিরা। এই সংঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ থেকে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সাদিয়া আক্তার।এদিকে দুপুর দেড়টা থেকে রাঙামাটি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খান। রাঙামাটি পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামালউদ্দিন জানিয়েছেন, 'সকালে পাহাড়িদের একটি মিছিল বনরূপায় এসে ফিরে যাওয়ার সময় বাঙালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে। এরপরই বাঙালি ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, রাঙামাটিতে সকালে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ সেনাবাহিনী বিজিবি কাজ শুরু করেছে।এদিকে আগুনে ফাইবার অপটিক-এর ক্যাবল পুড়ে যাওয়ায় শহরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইয়েস নেট-এর পরিচালক মো. শাহীন।খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালির সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।  চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব ঢাকা পোস্টকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে (আনুমানিক সাড়ে ১০টা) জেলা শহরের নারানখাইয়া, স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  তবে কাদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।এসএফ
    খাগড়াছড়িতে সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ২০
    খাগড়াছড়ি শহরে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে এক যুবককে হত্যার প্রতিবাদে গতকাল রাতভর দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। সহিংসতায় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান, ভাঙচুর করা হয় বাড়িঘরে।নিহত তিনজন হলেন- ধন রঞ্জন চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা ও জুরান চাকমা (২০)। এর মধ্যে ধন রঞ্জন চাকমা দু’পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। অপর দু’জন রুবেল ত্রিপুরা ও জুরান চাকমা (২০) জেলা সদরের নারানখাইয়া এলাকায় ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছেন।খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা নিহতের লাশ হাসপাতালে আছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। অপর দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান এবং জেলা পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সরেজমিনে দীঘিনালার সংঘাত ও অগ্নিসংযোগে পুড়ে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতের গুজবকে কেন্দ্র করে দীঘিনালা সদরের বাঙালি অধ্যুষিত থানা বাজার ও বোয়ালখালী বাজারের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ দুই বাজারের মাঝখানের লারমা স্কয়ার এলাকায় খাগড়াছড়িতে সংঘটিত গণপিটুনি নিয়ে বেশ কয়েকজনের মধ্যে বচসা হয়। এর পর বিকেল ৪টার দিকে জনা পঞ্চাশেক বাঙালি মিছিল নিয়ে কলেজ গেট থেকে থানা বাজার ঘুরে লারমা স্কয়ারের দিকে এগোলে পাহাড়িরা বাধা দেয়। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা লারমা স্কয়ারে সওজের জায়গায় স্থাপিত অস্থায়ী মার্কেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলির শব্দ হলে বাঙালিরা পিছু হটে।সন্ধ্যার পর থেকে দীঘিনালা,পানছড়িসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তার অবরোধ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চড়াও হয়। পানছড়িতে বিক্ষোভকারীরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।রাতে জেলা সদরের নারানখাইয়া ও স্বনির্ভর এলাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনা যায়। কারা গুলিবর্ষণ করেছে কেউ নিশ্চিত না করলেও এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুই পাহাড়ি যুবক ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জুরান চাকমাকে (২০) মৃত অবস্থায়, রুবেল ত্রিপুরা (৩৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।হাসপাতালে চিকিসাধীন আহত ও তাদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, জেলা সদরের নারাখাইয়া এলাকায় কয়েকজনকে আটক করলে তারা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলিবর্ষণ করলে তারা গুলিবিদ্ধ হন।স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জানান, পুলিশের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়লে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামেন। ততক্ষণে মার্কেটের অধিকাংশ দোকান পুড়ে যায়। ওই মার্কেটে পাহাড়ি-বাঙালি উভয় পক্ষের দোকানপাট রয়েছে।গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি শহরের নোয়াপাড়ায় চুরির অভিযোগে মো. মামুন নামে এক যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় বিএনপি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এ ঘটনা নিয়ে বুধবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাঙালি ও পাহাড়ি সম্প্রদায়ের বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে অনেকটা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে দীঘিনালায় সংঘাত ঘটানোর উস্কানি দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্তমানে পুরো জেলায় জনমনে আতঙ্ক ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজিত পাহাড়ি লোকজন রাস্তায় গাছ কেটে এবং চেঙ্গী নদীর জন্য নির্মিত ব্লক ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। ফলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা ও পানছড়িতে নিরাপত্তাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেন, ‘রাতে গোলাগুলি হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে। মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একটা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’এসএফ 
    নোয়াখালীতে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেপ্তার ৩
    নোয়াখালীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের বসত বাড়ি থেকে মাদক বিক্রির নগদ টাকাসহ ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজা ও বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামির মধ্যে একাধিক ছদ্মনাম ব্যবহারকারী নুর হোসেন (৪৯)(প্রকাশ মনির হোসেন প্রকাশ মনু ভুঁইয়া) চাটখিল থানার ৮ নং নোয়াখোলা ইউনিয়নের নোয়াখোলা গ্রামের ওয়ালী ভুঁইয়া বাড়ির মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। ২ নং আসামী মো. বাবুল (৪৫) একই এলাকার আন্তিয়ার বাড়ির মৃত মফিজুল হকের ছেলে। এবং ৩ নং আসামি মো. হারুন (৪৯) একই এলাকার ইয়াসিন হাজি বাড়ির মো. মহসিন মিয়ার ছেলে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে চাটখিলের নিজ বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়।নোয়াখালী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বাড়ি ঘেরাও করি। এ সময় একাধিক নাম ব্যবহারকারী নূর হোসেনের (৪৯) বসত ঘরে তল্লাশি চালিয়ে স্টিলের শোকেইস ও খাটের নিচে রক্ষিত মাদক ১ কেজি গাঁজা, ১৬০ পিস ইয়াবা ও ১০বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি গাঁজা রাখার একই পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ১,৭২,৫৬০ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়। এবং মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।আব্দুল হামিদ আরও জানান, মাদকের আগ্রাসন রুখে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার রুজু করা হয়েছে। তাদেরকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে।
    কক্সবাজারে জি-থ্রি রাইফেলসহ আরসা কমান্ডার আটক!
    কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন সদস্য একটি অভিযান পরিচালনা করে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেদেশের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার এক কমান্ডারকে আটক করেছে। এসময় তার কাছ বিদেশি তৈরি একটি জি-থ্রি রাইফেল ও ১০ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ধৃত সন্ত্রাসী হচ্ছে-উখিয়ায় অবস্থিত ১৩নং ক্যাম্পের গুলা হোসেনের পুত্র নুরুল ইসলাম (৪৫)।  সে মিয়ানমার আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতো।বৃহস্পতিবার (১৯সেপ্টেম্বর)রাতে উখিয়া পালংখালী ক্যাম্প-১৩ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সময়ের কন্ঠস্বরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ৮ আমর্ড পুলিশ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো.আমির জাফর।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে, উখিয়া পালংখালী ক্যাম্প-১৩ এলাকা থেকে উক্ত সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের আমরা জানতে পারি পালংখালী ১৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েক জন আরসা সন্ত্রাসী উক্ত ক্যাম্প এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। এরপর গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী এপিবিএন পুলিশের একটি চৌকস দল ক্যাম্প এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আরসা কমান্ডার সন্ত্রাসী নুরুল ইসলাম (৪৫) আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি জি থ্রি রাইফেল ও ১০ রাউন্ড তাজা গুলিও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আরসা কমান্ডার নুরুল ইসলাম জানিয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত হওয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে সে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত রয়েছে।ধৃত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য উদ্ধার হওয়া অস্ত্র গুলিসহ উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।পিএম
    বন্যার্তদের জন্য 'এক টাকায় বাজার'
    সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মানবিক সহায়তা দিয়েছে খাগড়াছড়িতে আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন, ২৪ আরটিলারি ব্রিগেড  ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার(১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোনের দায়িত্বপূর্ন এলাকা ফটিকছড়ির ভূজপুর ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে “এক টাকায় বাজার” অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিনব এ বাজারের উদ্বোধন করেন ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেডের গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম। এক টাকার এই বাজার থেকে ৫শ পরিবার পণ্য সংগ্রহ করে। যার মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আটা, তেল, ডিম, মাছ মুরগী, কাপড়, শিক্ষা উপকরণ সহ ১৯ ধরনের পণ্য। এছাড়াও ৬০টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন,  সেলাই মেশিন, ছাগল, কৃষিপণ্য সার ও বীজ বিতরণ সহ ৮শতাধিক রোগীকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাধ্যে লক্ষ্মীছড়ি জোন অধিনায়ক লে: কর্নেল তাজুল ইসলাম, জোন উপ-অধিনায়ক মেজর সারোয়ার জাহান, ফটিকছড়ির এসি(ল্যান্ড) মো: মেসবাহ উদ্দিন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার মো: জামাল উদ্দিন সহ সামরিক পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।এমআর
    মুন্সীগঞ্জে পাগলা শেয়ালের কামড়ে ১৩ জন হাসপাতালে
    মুন্সীগঞ্জের সদরে শেয়ালের কামড়ে তিন নারীসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে উপজেলার মধ্য মহাকালী ও নাহাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর একটি পাগলা শেয়াল আকস্মিক লোকালয়ে প্রবেশ করে যাকে পাচ্ছিল, তাকেই কামড়ায়। এসময় দুই গ্রামে একে একে ১৩ জন আহত হয় শেয়ালের কামড়ে। পরে গ্রামবাসীরা শেয়ালটিকে ধাওয়া করলে পালিয়ে যায়। তবে গ্রামবাসী শেয়ালের ভয়ে আতঙ্কিত।আহতদের মধ্যে যাদের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে– সাদিয়া আক্তার সাইমা (২০), আরবি আক্তার (১৮), নাজমা সুলতানা (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৫০), আমিনুল হক (৭০), সুমন শেখ, (২৭), জান শরিফ মৃধা (৫০), সিমথী মুনি (১৫), রুপকোনা (৮০), দীপ মন্ডল ( ২৩) ও দেলোয়ার হোসেন (৪৬)।এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. প্রান্ত সরকার জানান, আহতদের চিকিৎসার পর প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। শেয়ালের কামড়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাক্সিন নিলে কোনো ঝুঁকি থাকে না। আহতদের ভ্যাক্সিন দেয়া হয়েছে এক-দেড় ঘন্টার মধ্যেই।এসএফ 
    করিমগঞ্জে ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
    কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচা আব্দুর রাজ্জাক লেবু মিয়া (৮০) কে  কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা মোস্তাকিন মিয়ার বিরুদ্ধে। হত্যার পর নিজের গলা নিজেই কেটে আহত হন ভাতিজা মোস্তাকিন মিয়া (২৫)।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে  উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের গাঙ্গাইল পাঠানপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত আব্দুর রাজ্জাক লেবু মিয়া (৮০) পাঠানপাড়া গ্রামের মৃত মেওয়া মিয়ার ছেলে এবং আহত মোস্তাকিন মিয়া (২৫) একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আব্দুর রাজ্জাক লেবু মিয়া তাঁর প্রতিবেশী এবং চাচাতো ভাতিজা মোস্তাকিন মিয়াকে অস্বাভাবিক চলাফেরা করতে দেখে ভালো ভাবে এলাকায় চলাফেরা করার জন্য বলেন। এ কথা শুনে মোস্তাকিন উত্তেজিত হয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু করেন। একপর্যায়ে মোস্তাকিন তাঁর ঘর থেকে দা নিয়ে এসে লেবু মিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে লেবু মিয়া গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু করে। পরে অভিযুক্ত মোস্তাকিন তাঁর হাতে থাকা দা দিয়ে নিজের গলায় পোঁচ দিলে গলায় গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা এসে লেবুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। মোস্তাকিনের গলায় গুরুতর জখম দেখতে পেয়ে দ্রুত কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লেবু মিয়ার মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মোস্তাকিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়।করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানে হয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।পিএম
    সোনারগাঁয়ে মশক নিধন অভিযানের উদ্বোধন
    সোনারগাঁয়ে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সোনারগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে  এ অভিযানের আয়োজন করা হয়। সোনারগাঁ পৌরসভার  প্রশাসক মো. সাকিব-আল-রাব্বী এ অভিযানের উদ্বোধন করেন। দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় সোনারগাঁ পৌর এলাকায় ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য  রোগ নিয়ন্ত্রনে সার্বিক প্রতিরোধ এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বর্নাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীতে অংশ গ্রহন করেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মাশরেকুল  আলমসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরের বিভিন্ন স্থানে মশক নিধনের ঔষধ ছিটানো হয়। পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।এমআর
    একসঙ্গে দু'টি সরকারি চাকরি করেছেন সোহাগ
    গোপালগঞ্জে সরকারি চাকরিতে বহাল থাকার পরও অপর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করার অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুমের অফিস সহায়ক সোহাগ হাওলাদারের বিরুদ্ধে। তথ্য গোপন করে তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক পদে চাকরি নিয়েছে বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ নভেম্বর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে যোগদান করেন সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামের আওলাদ হোসেন হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার। কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী ভূমি অফিস কর্মস্থল হলেও সংযুক্তিতে বর্তমানে তিনি ডিসি অফিসের রেকর্ড রুমে কর্মরত রয়েছেন। তবে সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকলেও সিটি করপোরেশনে চাকরির আবেদনে তা গোপন করেছেন সোহাগ। চলতি বছরের ১৩ মে পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক পদে নিয়োগ পান সোহাগ। ডিএসসিসির তৎকালীন সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত নিয়োগ আদেশে ২ জুন পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক পদে ডিএসসিসিতে যোগদান করে তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তবে ৭ জুলাই থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন সোহাগ।এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহাগ হাওলাদার বলেন, সরকারি চাকরিতে থেকে আরেকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অন্যায় হয়েছে। সবাই চায় ওপরে উঠতে, আমি সেটা করেছিলাম। তিনি দাবি করেন, তার পরিবার চায় না তিনি ঢাকায় গিয়ে চাকরি করেন, সেজন্য পারিবারিক কারণ দেখিয়ে গত ১৮ আগস্ট স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের আবেদন জমা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।এ ‍বিষয়ে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, একই সাথে দু’টি সরকারি চাকরি করার সুযোগ নেই। বিষয়টি আমি জানতে পারলাম। তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এসএফ 
    মুন্সিগঞ্জে তিন দিন ব্যাপি বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত
    মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ৩ দিন ব্যাপি সর্বজনীন শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলা রাজানগর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের স্বর্গীয় নিবারণ মজুমদার বাড়িতে এই পূজা সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। পূজা মন্ডপের সভাপতি অরুন মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোমিন আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরন। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জসিমউদ্দিন খান খোকন, আওলাদ হোসেন মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া, দেলোয়ার হোসেন, ওমর ফারুক (অবাক), উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. শাহআলম, রাজানগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জেআই চৌধুরী লিটন, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক রিগ্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক বদলুর মনির, কেয়াইন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, উপজেলা জাসাস সভাপতি সাইফুল ইসলাম সানু, জেলা ছাত্র দল সিনিয়ার সহ-সভাপতি হিমেল মল্লিক, জেলা সেচ্ছাসেবকদল নেতা মাহমুদ হাসান ফাহাদ, উপজেলা যুবদল নেতা ফয়সাল আহমেদ, রাকিব মোল্লা, মাইনুল মোল্লা, ইলিয়াস, মাসুদ রানা ফাহিম, কেয়াইন ইউনিয়ন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইদ্রান ও সহ-সভাপতি ফয়সাল হাবিব প্রমুখ।এআই
    ভোলায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে আটক
    ভোলা সদর উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নাসিরউদ্দিন নান্নু (৬২) ও তার ছেলে মো. আরিফকে (৩৩) আটক করা হয়েছে। এ সময় এদের কাছ থেকে ১০টি বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে ভোলা শহরের আবহাওয়া অফিস রোডের নিজ বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন এইচ এম এম হারুন-অর-রশীদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।আটক নাসিরউদ্দিন নান্নু জেলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলার আবহাওয়া অফিস রোডের বাসিন্দা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্টগার্ড আরো জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে ভোলা শহরের গজনবী স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকাসহ দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চলে চেয়ারম্যান এ কে এম নাসিরউদ্দিন নান্নু মিয়ার নেতৃত্বে একটি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী দল চাঁদাবাজি, জমিদখল ও বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করে আসছিল। গোপন সংবাদের ডিত্তিতে আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন, নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ভোলা শহরের আবহাওয়া অফিস সড়কের নিজ বাসা তল্লাশি করে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র (দেশীয় পাইপ গান), ১০টি দেশীয় অস্ত্রসহ (৫টি রামদা, ৪টি দা, ১টি শাবল) সন্ত্রাসী এ কে এম নাসিরউদ্দিন নান্নু মিয়া ও তার ছেলে মো. আরিফকে আটক করা হয়।পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আটককৃতদের জব্দকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।আরইউ
    জলবায়ু তহবিলের দাবিতে কলাপাড়ায় সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত
    জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় জলবায়ু তহবিলের দাবিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় "সাইকেল র‌্যালি" অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের প্রাঙ্গণে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা(ধরা), এশিয়ান এনার্জি নেটওয়ার্ক, এপিএমডিডি এর উদ্যোগে এই র‌্যালির আয়োজন করা হয়। সাইকেল র‌্যালিটি বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে শুরু হয় এবং বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।সাইকেল র‌্যালি শেষে বক্তব্যে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর আঞ্চলিক সমন্বয়ক মেজবাহ উদ্দিন মান্নু বলেন, বিশ্বব্যাপী অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ হিসাবে জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু পরিবর্তন সমগ্র বিশ্বের সমস্যা হলেও বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশগুলো এর ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করছে সবচেয়ে বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে রক্ষা করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা প্রত্যাশা করি, উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। ফাতেমা-হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, কয়লাভিত্তিক জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২১ সালের পর কয়লানির্ভর নতুন কোনো বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থায়ন না করার ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান। জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কার্যকর একটি আলাদা তহবিল সৃষ্টির দাবি করছি। আরও উপস্থিত ছিলেন আমরা কলাপাড়াবাসী সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক নাজুস সাকিব,  সিপিপি টিম লিডার ওমর পাটোয়ারীসহ অন্যান্য পরিবেশ কর্মী বৃন্দ। সাইকেল র‌্যালিতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আমরা কলাপাড়াবাসী, কুয়াকাটা বয়েজ ক্লাব, কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এবং কুয়াকাটা তরুন ক্লাবের সহযোগিতায়  সাইকেল র‌্যালিটি অনুষ্ঠিত হয়।
    আমতলীতে বাড়ছে পলিথিনের ব্যবহার, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশ
    পলিথিনের দূষণে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৃতি-পরিবেশ হুমকির কবলে পড়ছে। অপচনশীল পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহারে ভরাট হচ্ছে নদী-নালা, খাল-বিল। দূষিত হচ্ছে পানি। বিষ ছড়াচ্ছে বাতাসে। শুধু তাই নয়, পলিথিন বর্জ্যরে কারণে উর্বরতা হারাচ্ছে মাটি।সরেজমিনে দেখা গেছে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় পলিথিনের ব্যাপক ব্যবহার বেড়েছে। ক্ষুদ্র একটি জিনিস থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্যই এখন পলিথিনের ব্যাগে করে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন দোকানিরা।আমতলী শহরের স্থানীয় ব্যবসায়ী ইব্রাহিম বলেন, আমাদের শহরে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে পলিথিন। এতে নদী-নালা খাল-বিল, রাস্তাঘাটে অতিরিক্ত পলিথিনের আবর্জনার।চাওরা ইউনিয়নের কৃষক লতিফ গাজী বলেন, পলিথিন আমাদের বহু ক্ষতি করে। এই পলিথিন জমিনের নিচে পড়লে ধানের গুছাটা লাল হইয়া যায়। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে করে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে এ নিষিদ্ধ পলিথিন।আমরা আমতলীবাসী সংগঠনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমরা জানি পরিবেশ দূষণের কারণে পলিথিনকে সরকার নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু ইদানীং আমরা পলিথিন বন্ধের ব্যাপারে সরকার বা আইনপ্রযোগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে দেখছি না। আইন প্রয়োগ করতে হবে। আইন শুধু কাগজে-কলমে থাকলে হয় না।আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, পলিথিনে বর্জ্য আমরা যত্রতত্র ফেলছি। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। নর্দমাগুলোয় পলিথিন আটকে থাকে। এতে পানি জমে থাকে। পানি জমে থাকায় মশার বংশ বৃদ্ধি পায়। কিছু মানুষকে দেখা যায়, বর্জ্য পদার্থ আগুনে পুড়াচ্ছে। পলিথিন পুড়ালে এর প্রভাব পড়ে মানবদেহ। এমনকি মানবশরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ।আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশ্রাফুল আলম বলেন, পলিথিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুটি প্রচলিত আইন আছে। এই দুই আইনের আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়েও করা হয়ে থাকে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।পিএম
    বাবা-মা ও ভাইয়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফাজ্জল
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত মাসুদ কামাল তোফাজ্জলের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনা পাথরঘাটার তালুক গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা, মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি।এর আগে এদিন সকাল নয়টায় স্থানীয় মাদরাসা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর তোফাজ্জলের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা।উল্লেখ্য, গত বুধবার চোর সন্দেহে তাকে আটক করে ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। রাত ১০টা পর্যন্ত হলের গেস্টরুমে কয়েক দফা মারধর করা হয় তাকে। এক পর্যায়ে ক্যান্টিনে বসিয়ে খাবারও খাওয়ায় শিক্ষার্থীরা।এরপর আবারও মারধর করা হয়। এসময় তোফাজ্জল অসুস্থ হয়ে পড়লে মধ্যরাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এসএফ 
    প্রাথমিকের শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে পিরোজপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুরের  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশিক্ষন কেন্দ্র (পিটিআই) এর সামনে থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে পুরাতন সিও অফিস মোড়ে ঘন্ট ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন শিক্ষকরা। এ সময় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেড থেকে উন্নিত করে ১২ তম গ্রেড বাস্তবায়নের একটি প্রস্তবনা পেশ করা হয়।  কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই তাদের জন্য ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি ওই জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাদের সেই ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে আজকের এই মানববব্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করেছেন। ওই মানববন্ধনে বক্তব্য  রাখেন   প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ আল মারুফ,  মো. আব্দুল আজিজ,  সুমাইয়া নাসরিন সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। তারা তাদের পৃথক বক্তব্যে অভিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবী জানান। এমআর
    শেরপুর জেলার সব থানার ওসিকে একযোগে বদলি
    শেরপুর জেলার পাঁচটি থানার সকল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একযোগে বদলির নির্দেশনা জারি করেছে পুলিশ হেড কোয়ার্টার। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের অতিরিক্ত আইজি আবু হাসান মুহম্মদ তারিকের সই করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই বদলির আদেশ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাড়পত্র গ্রহণ করে বদলিকৃত নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর একযোগে সকল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এটাই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে হাইওয়ে পুলিশে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী, ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহামেদ বাদল, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া ও নালিতাবাড়ী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়াকে সিআইডিতে বদলি করা হয়েছে। এর আগে শেরপুরের পাঁচটি থানার ওসিদের গত নির্বাচনের আগে এক থানা থেকে অন্য থানায় পরিবর্তন করা হয়েছিল। অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নন্দিরবাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা শেরপুর সদর থানার (ওসি) এমদাদুল হককে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে শেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত ডিআইও-১ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গত ১০ সেপ্টেম্বর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।এআই 
    জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০
    নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরশহরের বাজারে একটি দোকান ঘরের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু'পক্ষের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত দুইজন গুলিবিদ্ধ সহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ময়মনসিংহে রেফার্ডকৃত আহতরা হচ্ছেন-শাওন (৩৩), রফিকুল (৪০), বাবু (২১), রফিকুল ইসলাম (৫৯) ও রনি (২২)। এদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ও রনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।প্রত্যক্ষ্যদর্শী, স্থানীয় ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলা মধ্য বাজারে থাকা সোহেল আমিন নামে এক ব্যক্তির কিশোরগঞ্জের দোকান নামে বড় একটি দোকানঘর রয়েছে। এটি রাতে দখল করতে যায় দিগদাইর গ্রামের বাসিন্ধা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নাসির খন্দকারের বড় ভাই যুবলীগ নেতা আল আমিন। এসময় দোকান মালিক সোহেলের পক্ষে জায়গা রক্ষা করতে যান চকবাট্টা গ্রামের বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন ভুইয়া। এক পর্যায়ে বিএনপি দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে দুই গ্রামের বাসিন্ধাদের মাঝে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। উভয় গ্রুপই জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর সমর্থক। প্রথমে কেন্দুয়া থানার সামনে এক দফা সংঘর্ষ হয়। পরে প্রায়  ৫০ গজ দুরেই বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আবারও সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ নিস্ক্রিয় থাকায় দুই দফায় সংঘর্ষের খবরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় স্থানীয় কেন্দুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে মমেক পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্যরা নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী জানান, গত ৪০ বছর ধরে ক্রয়সূত্রে দোকানের মালিক সোহেল আমিনরা। কিশোরগঞ্জের দোকান নামে বড় দোকানটির ঐতিহ্য রয়েছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালে যুবলীগ নেতা আল আমিন খন্দকার দোকানটির বিক্রেতার ছেলের কাছ থেকে দ্বিতীয়বার লিখিয়ে নেন। আল আমিন খন্দকার যুবদলের নাসির খন্দকারের ছোট ভাই হলেও সে যুবলীগ নেতা হয়ে বিগত সময়ে নানা ধরনের ক্ষমতা দেখিয়েছে। কয়েক দফায় এ নিয়ে দরবারও হয়েছে। নাসিরও তার ভাইয়ের এমন কাজের বিপক্ষে।  আজ আবার ওই দোকানের তালা খুলতে যায় আল আমিন খন্দকার। পরে নাসির বাধা দিলে চাচাতো ভাই পৌর যুবদলের আহবায়ক উজ্জ্বল খন্দকারকে নিয়ে যায় তালা খুলতে। যে কারণে এলাকার মানুষ অন্যায় কাজে বাধা দিলে উজ্জ্বল খন্দকারকে নিয়ে দুলাল চেয়ারম্যানের ভাতিজা ফরহাদ ভুইয়ার সহযোগিতা পায় আল আমিন খন্দকার। শোনা গেছে ফরহাদ ভুইয়া গুলিও নাকি চালিয়েছে।  এই ঘটনায় কয়েকজন আহতও হয়েছে। এ দিকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অনুপ কুমার সরকার জনান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জনের মতো চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ থাকার কথাও জানান তিনি।কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, কেন্দুয়া পৌর শহরের মধ্যবাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এমআর
    সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার-কারখানা চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
    জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত যমুনা সার-কারখানায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকার সার-কারখানা শ্রমিকদল আঞ্চলিক শাখা ও থানা শ্রমিকদলের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও কর্মচারীরা কারখানার সম্মুখে সরিষাবাড়ী-ভুয়াপুর প্রধান সড়কে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় সার-কারখানার কয়াক শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ও সার ব্যবসায়ীরা সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বিগত দিনে আওয়ামী লীগের নেতারা লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন যমুনা সার কারখানাকে বাঁচাতে গ্যাস সরবরাহ জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের গত ১৫ জানুয়ারি সংকটের অজুহাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস কাখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় যমুনার বিভিন্ন মুল্যবান যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ বিনষ্ট হয়ে পড়ার আশষ্কা দেখা দিয়েছে। দ্রুত যমুনায় গ্যাস সংযোগ প্রদান না করলে বৃহৎ আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেন বক্তারা। এতে অন্যানদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, উপজেলা ম্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি চান মিয়া চানু, সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ ফকির, কৃষকদলে আহবায়ক আব্দুল মজিদ, মনিরুজ্জামান আদম, রাশেদুজ্জামান লিটন প্রমুখ।উল্লেখ্য: যমুনা সার কারখানা জামালপুরের সরিষাবাড়ির তারাকান্দিতে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাস কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং দানাদার ইউরিয়া সার উৎপন্ন হয়। এআই 
    ছাত্রদল সভাপতির গুদাম থেকে ১৭ লাখ টাকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার
    নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি এরশাদূর রহমান বিদ্যুতের গুদাম থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে কম্বল ও সিগারেটসহ ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৫ শত টাকার মালামাল উদ্ধার হয়েছে।মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা জেলায় দায়িত্বরত ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিসানুল।মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামের ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ এরশাদূর রহমান বিদুৎ গুদামে অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়। গুদামে কম্বল ছাড়াও সিগারেটের ফিল্টার মোড়ানো খালি সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে। প্রেস রিলিজে জানান, মঙ্গলবার(১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলমাকান্দা ক্যাম্প হতে ক্যাপ্টেন মোঃ আসিফ প্রামানিক নুহাস এর নেতৃত্বে (সেনাবাহিনী ও পুলিশের) যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কলমাকান্দার রংছাতি ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামের একটি গুদাম থেকে মোট ৩৩১টি কম্বল (ডাবল -২২১ টি এবং সিংগেল-১১০ টি) ও ১ লাখ ৪০ হাজার পিস সিগারেটের ফিল্টার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত কম্বল ও সিগারেটের ফিল্টারের আনুমানিক মূল্য ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫শত টাকা। তবে অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুদাম থেকে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করতে পারেনি যৌথ বাহিনী।নেত্রকোণা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের মেজর জিসানুল হায়দার জানান, জব্দকৃত অবৈধ কম্বল এবং সিগারেট এর ফিল্টার ৩১ বিজিবির নায়েব সুবেদার রিফায়েত উল্লার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।এমআর
    নেত্রকোনায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা
    নেত্রকোনার জেলা শহরের কসমেটিক্স দোকানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বাজার মনিটরিং ও ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা হামলা করেছে।সোমবার(১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের বড়বাজার কসমেটিক্স দোকান গল্লি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সমন্বয়কদের মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তারা। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হামলাকারীদের মধ্য থেকে শুভ্র নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। তবে আটকৃত শুভ্র নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করেন। সমন্বয়ক দাবিদার শুভ্র বড় বাজারের নন্দিতা কসমেটিক্স এন্ড বিগ শপের দোকানদার।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্স এর শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক প্রীতম সোহাগ বলেন, চোরাই পথে আসা ও ব্যবহারের নিষিদ্ধ কসমেটিক্স দোকানের বিক্রি হয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই নেত্রকোনার কসমেটিক্স বাজারে অনিয়মের বিষয়টি জেনে আসছি। আজ মঙ্গলবার সকালে ভোক্তা অধিকারের সাথে আলোচনা করে তাদের সাথে আমরা বাজার মনিটরিং আসি। ভোক্তা অধিকার সৈকত ষ্টোরে অবৈধ, ব্যবহারে নিষিদ্ধ এবং চোরাই পথে আসা পণ্য পাওয়ায় ৫ হাজার জরিমানা করেন। এর পরই কসমেটিক্স দোকান মালিক ও কর্মচারীরা এক যুগে আমাদের উপর হামলা করে। সেনাবাহিনী আসলে তাদের সামনেও উদ্ধতপূর্ণ আচরণ শুরু করে। পরে সেনাবাহিনী শুভ্র নামে একটি ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। আমরা চাই নিষিদ্ধ পণ্য, সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া পণ্য অতিরিক্ত মূল্যে যাতে কেউ পণ্য বিক্রি করতে না পারে সেজন্যে আরও কঠোর মনিটরিং করা হয়।কসমেটিক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু সাহা জানান, আমি সেনাবাহিনী ক্যাম্পে আছি একটু পরে কথা বলব। পরবর্তীতে আর ফোন রিসিভ করেন নি।নেত্রকোনা ভোক্তা অধিকার কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারি পরিচালক আব্দুস ছালাম জানান, আমরা বাজার মনিটরিং এ গিয়ে প্রথমে সৈকত ষ্টোর নামে একটি দোকানে অভিযান পরিচালনা করা। এ দোকানে নিষিদ্ধ অবৈধ বিএসটি অনুমোদনহীন ও অবৈধ পথে আনা পন্য পাই। পরে দোকান মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করি। তখন ওই মার্কেটে দোকানের লোকজন এসে সমন্বয়কদের উপর হামলা করে। তখন আমরা এবং পথচারীরা থামানোর চেষ্টা করি। নিষিদ্ধ পণ্যগুলো ব্যবহার করলে স্কিন ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এজন্য সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে। আমাদের অভিযান আরও কঠোরভাবে পরিচালনা করা হবে। নেত্রকোনা অস্থায়ী সেনাবাহিনী ক্যাম্পের মেজর জিসানুল হায়দার জানান, সেনাবাহিনীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং একজনকে ক্যাম্পে এনে দোকান মালিকদের উপস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটে তাহলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।এমআর
    মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির অভিযোগ
    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডারের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় পৌর শহরের বিজয়চত্বর এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলেন যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার  বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ভুঁইয়া।সংবাদ সম্মেলনে চিহ্নিত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাতিলসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান সাংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দের একাংশ।সংবাদ সম্মেলনে দেবীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও যুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার এ.কে ভুইয়া মুল বক্তব্য উপাস্থাপনা করেন।বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে ভুঁইয়া বলেন, ১৯৭৬ সালে দেবীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ছিল মাত্র সাতজন। তখন আমরা পুরো থানাতে মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাইনি। এরপর আমি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যক্রম থেকে সরে গিয়েছি। পরে অনিল চন্দ্র ৩০ বছরে একক ভাবে স্বদেশ চন্দ্র রায়কে সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পরিচালনা করেন।  তখন আমরা দেখতে পেলাম তিন জনকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও দুই জনকে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকা ভুক্ত করা হয়। এই পাঁচ জন মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধে অংশগ্রহন করে নাই। আমি তিন জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তৎকালীন মন্ত্রী তাদের ভাতা বাতিল করে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। স্বদেশ চন্দ্র রায় তার দলবল নিয়ে অর্থের বিনিময়ে পুনরায় তিন জনকে তালিকাভুক্ত করে। তাদের মধ্যে অক্ষয় চন্দ্র রায় নামের একজন ১৯৭৪ সালে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে মারা যান।তিনি আরও বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১০৩ জন তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পাচ্ছেন ১৪১ জন মুক্তিযোদ্ধা। বাকি ৩৮ জন মুক্তিযোদ্ধা ২০০৫ সালেও তারা গেজেট ভুক্ত হতে পারেনি। এই ৩৮ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা অর্থের বিনিময়ে অনলাইনে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। কিন্তু ভুয়া হওয়ার কারনে তারা আজ পর্যন্ত গেজেট ভুক্ত হতে পারেনি। ভুয়া হয়েও তারা সরকারি ভাতা, বোনাস নিচ্ছেন এবং সরকারি সব সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন এবং ছেলে মেয়েদের সরকারি চাকুরি নিয়ে দিচ্ছেন।কম্পানি কমান্ডার ভুইয়া আরও বলেন, স্বদেশ চন্দ্র রায় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার থাকাকালে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ১০ লক্ষ টাকা করে ঋন নিয়ে দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকেও তিনি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্ব থাকাকালে এবং দায়িত্বে না থেকেও তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়েছেন। আমি বর্তমান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, দেবীগঞ্জের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবুল বাশার বসুনিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান প্রমুখ।এমআর
    রংপুরে আ.লীগের তুষার কান্তি ৭ দিনের রিমান্ডে
     বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল তাহির হত্যা মামলায় রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মেট্রোপলিটন চিফ আদালত রংপুরের বিচারক আসাদুজ্জামান তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে, সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তুষার কান্তি মন্ডলকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুন্নবী আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষে লিগ্যাল এইডের আইনজীবী ইফফাত আক্তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।তাহির হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ছাড়াও তুষার কান্তি মন্ডলকে অন্য আরও ৩টি হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।নিহত আব্দুল্লাহ আল তাহির রংপুর মহানগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসের অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। গত ১৯ জুলাই বিকেলে ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর সিটি বাজারের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আব্দুল্লাহ আল তাহির।  তাহিরের মৃত্যুর ঘটনায় তার মা-বাবা পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেছেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলী আদালতে মামলা করেন তাহিরের মা শিরিন বেগম। এর আগে গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানা আমলী আদালতে তাহিরের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা করে। ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ৪০ জনকে আসামি করা হয়।এদিকে গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাভার থেকে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা তুষার কান্তি মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চারটি হত্যা মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে।এদিকে তুষার কাণ্ডি মন্ডলের বিরুদ্ধে সমবায় ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ ও সমবায় ভবন নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাটসহ আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।প্রসঙ্গত, তুষার কান্তি মন্ডল রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার পক্ষে কাজ না করায় তার নেতৃত্বাধীন কমিটি ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।এইচএ
    উলিপুরে অগ্নিকাণ্ডে বসতবাড়ি ও গবাদি পশু পুড়ে ছাই
    কুড়িগ্রামের উলিপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।  বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের পাতিলাপুর এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে করে তিনটি বসত ঘর, আসবাবপত্র, দুইটি গরু ও দুইটি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবারটি জানিয়েছে। জানা গেছে, বুধবার রাতে ওই এলাকার আবুল হোসেনের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে গোয়াল ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। গোয়াল ঘরে পাটকাঠি মজুত থাকায় আগুন দ্রুত আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাখানেক চেষ্টা করে উলিপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু তার আগেই গোয়াল ঘর, বসতবাড়ি, আসবাবপত্র, ধান-চালসহ অন্য জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হোসেনের স্ত্রী জোবেদা বেগম জানান, অগ্নিকাণ্ডে তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। খাওয়া ও পরার মত কোনো কিছুই নাই।উলিপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন লিডার আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হবে।উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। পরিবারটিকে সহযোগিতা করা হবে।এআই 
    কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে গোসলে নেমে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
    কুড়িগ্রামের ধরলা নদীতে গোসল করতে নেমে মো. আপন (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে মোগলবাসা ইউনিয়নের জিগাবাড়িঘাট ধরলা নদী এলাকায় নিখোঁজ হয় সে।মোগলবাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজার রহমান মিলন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।নিখোঁজ আপন মোগলবাসা ইউনিয়নের নিধিরাম গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলামের ছেলে। সে মোগলবাসা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ বিকেলে আপন ও তার বন্ধুরা মিলে গোসলের উদ্দেশে ধরলা নদীতে নেমে পড়ে। স্রোতে সাঁতার কাটতে গিয়ে আপন হঠাৎ তলিয়ে যায়। অনান্য বন্ধুরা সাঁতরে তীরে উঠলে আপন তীরে উঠতে পারেনি। আপনের খুঁজে কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের দল কাজ করেছে।কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘নিখোঁজ ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ এখনো উদ্ধার হয়নি। রাতের বেলা পানিতে কাজ করতে সমস্যা হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।এফএস
    দেবীগঞ্জে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন
    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, টাকা আত্নসাৎসহ ১৫ দফা দাবি আদায় ও শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় দেবীগঞ্জ পৌর শহরের বিজয়চত্বর সংলগ্ন দেবীগঞ্জ-নীলফামারী জাতীয় মহাসড়কে এই মানববন্ধনে অংশ নেন শেখ রেয়াজিয়া দাখিল মাদ্রাসার অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।এসময় বক্তারা বলেন, শেখ রেয়াজিয়া দাখিল মাদ্রাসা অনিয়ম দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সুপারিন্টেন্ডেন্ট সাইফুল ইসলাম দায়িত্ব প্রাপ্তির পর থেকে মাদ্রাসাকে টাকা আয়ের প্রধান ক্ষেত্রে বানিয়েছেন। মাদ্রাসার নামে থাকা ৭২ বিঘা জমির আয়-ব্যয়ের কোন হিসেব তিনি দিতে পারেননি কখনো। ১৫ বিঘা জমি কাউকে না জানিয়ে বন্ধক রেখেছেন। কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদের নিয়ে একের পর এক অনিয়ম করে গেছেন। লাইব্রেরী,  সায়েন্স ল্যাবরেটরিসহ বিভিন্ন খাতে মাদ্রাসায় বরাদ্দ আসলেও সেই টাকা কোথায় যায় তার কোন হদিস পাওয়া যায় নি। নিয়োগ বাণিজ্যেও সিদ্ধহস্ত অভিযোগ করেন বক্তারা।মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যায়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুরাব হোসেনের সাথে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জমা দেন শিক্ষার্থীরা।ভারপ্রাপ্ত  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুরাব হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের থেকে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি।এর আগে গত ২৭ আগস্ট ১৫ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে সুপারিন্টেন্ডেন্টের সাথে দেখা করেন শিক্ষার্থীরা। সমস্যা সমাধানে সাত দিন সময় নিলেও সুপারিন্টেন্ডেন্ট কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেননি। পরে শিক্ষার্থীরা প্রথমে ক্লাস বর্জন করেন এবং পরে মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন।এমআর
    সিরাজগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত ১
    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় সবুজ আলী শেখ (২৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি বরেন্দ্র এক্সপ্রেস বাসের চেকার ছিলেন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর') ভোর রাতের দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গার ধোপাকান্দি এলাকার একটি ইটভাটার পাশে এ হামলার শিকার হন। নিহত সবুজ আলী শেখ সলঙ্গা থানার রশিদপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের আব্দুস সালাম শেখের ছেলে।'স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোহাব্বত আলী শামীম জানান, দীর্ঘদিন বরেন্দ্র এক্সপ্রেস বাসের চেকার হিসেবে নিহতের ভাই ফিরোজ আলী কাজ করে আসছিল। হঠাৎ ফিরোজ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার ছোট ভাই সবুজ আলী ভাইয়ের পরিবর্তে ডিউটিতে যায়। ডিউটির দিন রাত ২ টা ১৫ মিনিটে সবুজের সঙ্গে ফিরোজের কথা হয়। এরপর থেকে সবুজের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সবুজের ফোন বন্ধ থাকায় অন্য গাড়ির চেকারদের জানায়, সবুজের ফোন বন্ধ। তখন অন্য গাড়ির চেকাররা অনেক খোঁজাখুজির পর ইটভাটার পাশে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে তাকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সলঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)। তাজউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।আরইউ
    চাটমোহরে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জোরপূর্বক বের করে দেবার অভিযোগ
    পাবনার চাটমোহর উপজেলার এনায়েতুল্লাহ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইসহাককে প্রকাশ্য দিবালোকে জোরপূর্বক মাদ্রাসা থেকে বের করে দেবার অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটার দিকে তার কক্ষে গিয়ে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে চাবি ও ফাইলপত্র কেড়ে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক মাদ্রাসা থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি সমর্থিত কিছু লোকজন।এ সময় একই মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক রবিউল করিম বাচ্চুর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে চেয়ারে বসিয়ে উল্লাস করেন তারা। পরে তারা মিষ্টি মুখ করেন। এ সময় মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক সেখানে উপস্থিত থাকলেও তারা ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করেননি।ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইসহাক।মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইসহাক তার অভিযোগে জানান, ’বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন, চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকলেছুর রহমান বিদ্যুৎ, স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম সরকারের নেতৃত্বে এলাকার কিছু লোকজন আমার কক্ষে আসেন। তারা আমাকে আওয়ামীলীগের দোসর, আওয়ামীলীগের লোকজনকে নিয়ে কমিটি করেছি, বালুচরের মানুষকে কমিটিতে রাখি নাই কেন, আমি কোন ক্ষমতাবলে চেয়ারে আছি এমন বিভিন্নরকম প্রশ্ন করেন। এক পর্যায়ে তারা যাকে খুশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বানাবে বলে আমাকে চেয়ার ছেড়ে দিতে বলেন এবং চাবি বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন। আমি তাদের নানাভাবে আমার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকার বৈধতা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলেও তারা কোনো কথাই শোনেননি। তখন আমি সম্মান রক্ষোর্থে চলে আসছি। পরে তারা মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দেন।’এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবিদার রবিউল করিম বাচ্চু বলেন, ‘নিয়োগকালীন সময়ে ম্যানেজিং কমিটি রেজুলেশন করে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু মাওলানা ইসহাক সাহেবকে বারবার বলার পরও তিনি আমাকে কখনও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। আজ এলাকাবাসী তাকে সরিয়ে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ারে বসিয়ে দিয়েছেন।’ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ও রেজুলেশন ছাড়া কেউ কি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে আপনাকে চেয়ারে বসিয়ে দিতে পারে কি না এবং আপনি বসতে পারেন কি না-এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি রবিউল করিম বাচ্চু। চেয়ার বসার আগে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইউএনও সাহেব জানতেন না বলেও স্বীকার করেন তিনি।জানতে চাইলে ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকলেছুর রহমান বিদ্যুৎ বলেন, বালুচর সমাজের মানুষের হাতে গড়া মাদ্রাসাটি। সমাজের লোকজনই এটা করছে। আমিও সমাজের মানুষের মধ্যে পড়ি। মাওলানা ইসহাক সাহেবের বৈধ কাগজপত্র নাই। এজন্য তাকে চলে যেতে বলা হয়েছে। রেজুলেশনে রবিউল করিমের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব রয়েছে।’আপনি কি সেই রেজুলেশনটি পড়েছেন, সেখানে কি লেখা আছে জানতে চাইলে বলেন, ’পড়ি নাই। আমাকে বলছে। যার কাগজ আছে তাকেই বসাবো। একজনকে সরিয়ে আরেকজনকে চেয়ারে বসাতে পারেন কি না জানতে চাইলে বলেন, তা পারি না। সমাজের মানুষ বসিয়েছে।’মাদ্রাসাটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেদুয়ানুল হালিম বলেন, ‘এ বিষয়ে সামনে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির একটি সভা আহবান করবো। সেখানে কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’একজন জৈষ্ঠ শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দিনে-দুপুরে অপমান করে বের করে দেয়া হলো এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তার উত্তর না দিয়ে একই সুরে কথা বলেন ইউএনও।’উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাদ্রাসার সিনিয়র আরবী শিক্ষক মাওলানা আবু ইসহাক। মাদ্রাসার নিয়োগ কার্যক্রমের জন্য ম্যানেজিং কমিটি মিটিংয়ের মাধ্যমে একই মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক রবিউল করিম বাচ্চুকে নিয়োগকালীন সময়ের জন্য সাময়িক সাচিবিক দায়িত্ব পালন করতে বলেন এবং মাওলানা আবু ইসহাককে মাদ্রাসার সমস্ত প্রশাসনিক কাজ করতে বলেন। পরবর্তীতে সরকারি এক ঘোষণায় নিয়োগের সকল কার্যক্রম বাতিল হয়ে যায়। তারপর বিগত ৯ থেকে ১০ মাস মাদ্রাসার প্রশাসনিক সহ সকল কার্যক্রম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে মাওলানা আবু ইসহাক দায়িত্ব পালন করে আসছেন।কিন্তু নিয়োগকালীন সময়ের ওই রেজুলেশনের কথা বলে হঠাৎ করেই কিছুদিন ধরে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি শুরু করেন রবিউল করিম বাচ্চু। একইসাথে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইসহাকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে অপপ্রচার চালান তিনি। তাতেও কুলিয়ে উঠতে না পেরে অবশেষে দ্বারস্থ হন স্থানীয় কাউন্সিলর সহ কিছু বিএনপি সমর্থক লোকজনের কাছে।এমআর
    ভাঙ্গুড়ায় শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় ফুটে উঠছে দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা
    এক মাসেরও কম সময় পর অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রতিমা শিল্পীরা।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঘুরে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। প্রতিমা শিল্পীদের নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হচ্ছে একেকটি প্রতিমা।শিল্পীদের অতি ভালোবাসায় তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, লক্ষ্মী, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি। ইতিমধ্যে প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে দেবীর মূর্তি নির্মাণের অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।ভাঙ্গুড়া উপজেলার কয়েকজন মৃৎশিল্পী জানান, দেবীদুর্গা আসছেন অন্ধকার আচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে। ঢাক, ঢোল, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনি দিয়ে দেবীদুর্গাকে বরণ করে নেওয়ার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। নিজেদের মনের মতো করে প্রতিমার নকশায় নিজেকে সেরা শিল্পী হিসেবে তুলে ধরতে দিন-রাত পরিশ্রম করে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মরত মৃৎশিল্পীরা।ভাঙ্গুড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মলয় কুমার দেব জানান, পূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ের সব মণ্ডপের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপিত হবে।এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, আইনশৃঙ্খলার যেন কোনো অবনতি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে। সবার সহযোগিতা পেলে আশা করছি শারদীয় দুর্গাপূজা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারব।এমআর
    জয়পুরহাটে দক্ষতা তরান্বিত এবং শক্তিশালীকরণে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
    অর্থনৈতিক রূপান্তরের জন্য দক্ষতা তরান্বিত এবং শক্তিশালী করন প্রকল্পের আওতায় জয়পুরহাটে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রের ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কলেজের হলরুমে দিনব্যাপী জয়পুরহাট সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠত হয়। কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন শিল্প, কলকারখানার অর্ধ শতাধিক ব্যবসায়ীগন উপস্থিত ছিলেন।জয়পুরহাট সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আহসানুল হাবীব খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখলাছুর রহমান, উপপ্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রকিবুল হাসান ও জয়পুরহট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আব্দুল হাকিম মন্ডল বক্তব্য দেন। এর আগে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইন্সট্রাক্টর (পদার্থ) মিনহাজুল ইসলাম।কর্মশালায় বক্তারা জানান, দক্ষতা তরান্বিত এবং শক্তিশালী করন পকল্পের আওতায় এ প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করে স্থানীয় ও দেশীয় শিল্প-কল কারকাখায় কাজ করে দেশকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি  বিদেশে এ জনশক্তির কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বিপুল বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনে সহায়ক হবে।এমআর
    সিরাজগঞ্জে গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
    সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম এলাকায় অভিনব কায়দায় পাচার কালে অভিযান চালিয়ে ৯২.৫ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-১২। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র‌্যাব-১২ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার (লে. কমান্ডার বিএন) এম. আবুল হাশেম সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোল-চত্বর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটকেরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার দক্ষিণ রামভদ্রপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে শামিম হোসেন (২৫) ও ঝিনাইদহ জেলার কাগমারি (কুমিল্লাপাড়া) গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে শামিম হোসেন (২৬)। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানি কমান্ডার এম. আবুল হাশেম সবুজ জানান, মালবাহী পিকআপে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য পাচার হচ্ছে, এমন সংবাদ পেয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোল-চত্বর এলাকায় রাস্তার উপরে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান চালানো হয়। এসময় মালবাহী একটি পিকআপে তল্লাশি চালিয়ে ৯২.৫ কেজি গাঁজাসহ ২ কারবারিকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে মাদক ক্রয়-বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত পিকআপটিও জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অভিনব কায়দায় দীর্ঘদিন ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। উদ্ধারকৃত আলামতসহ আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।এআই 
    সুনামগঞ্জে বিদেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
    সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে র‌্যাব ২২৫ বোতল বিদেশী মদসহ আব্দুর রউফ (৪৫)নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে (র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব এলিট ফোস)। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে উপজেলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯,সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জের একটি আভিযানিক দল আটক করে। আটক রউফ উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক এর ছেলে।র‌্যাব-৯ সিলেট সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক আসামি ও জব্দকৃত আলামত বিশ্বম্ভরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র‌্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।এআই
    চুনারুঘাটে ১৬ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
    হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে ১৬ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার মো. মশিহুর রহমান সোহেল।আটককৃতরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ থানার চরনূর আহমদ এলাকার মো. মকসুদ আলীর ছেলে মো. আইয়ুব আলী (৩২), এবং নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানাধীন দেওশ্রী এলাকার মৃত মোকসুদ আলীর ছেলে মো. আব্দুল করিম (৪৫)।র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার র‌্যাব-৯ এর সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল চুনারুঘাট থানাধীন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ১৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত দুই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করে আসামিসহ উদ্ধারকৃত আলামত হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া সেল।এআই 
    শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় ১১৬ জন আসামি
    হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হুমায়ূন কবীর সৈকত, সাবেক পৌর মেয়র মো. ছালেক মিয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরানসহ ১১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একজন শিক্ষার্থী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে আতাউর রহমান হৃদয় ওরফে শেখ হৃদয় বাদি হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাম্মনডুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন আদিল মো. জজ মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদউজ্জামান মাসুক, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত, নুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগে সভাপতি ইসহাক আলী সেবন, ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম শিবলু, ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল খান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজল উদ্দিন তালুকদার, কাউন্সিলর আবু তাহির মিয়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফখরুল হামিদ,আব্দুল মুকিদ, ফজল উদ্দিন তালুকদার, খায়রুল আলম, আব্বাস উদ্দিন তালুকদার, কাউন্সিলর আবু তাহির, প্রসেনজিত দেব অসিত রঞ্জন দাশ মন্টু, প্রতাপ রায়সহ অজ্ঞাত আরও ১৫০/২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রসেনজিৎ দেব ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাসেল, ব্রাম্মনডুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম দিপন। মামলা বলা হয়, গত ৪ আগষ্ট বিকেল ৩ টায় শায়েস্তাগঞ্জের রেলওয়ে পার্কিং এলাকায় বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করতে ছাত্র-জনতা একত্রিত হন। এ সময় ১, ২ ও ৩নং আসামীর নেতৃত্বে ও হুকুমে অন্যান্য আসামিরা বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে ৩নং আসামি তার হাতে থাকা কাচের পেপসির বোতল দিয়ে আতাউর রহমান হৃদয় ওরফে শেখ হৃদয়কে আঘাত করেন। উক্ত আঘাতের কারনে তার চোখটি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া অন্যান্য আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন।জানা যায়, গত ৪ আগস্ট শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পার্কিংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর, মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ অনেক ছাত্র গুরুতর আহত হয়।অফিসার ইনচার্জ মোবারক হোসেন ভূইয়া জানিয়েছেন, যেহেতু মামলাটি রুজু হয়েছে, তাই আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।এআই 
    হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিম গ্রেপ্তার
    হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-২।গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব-২।এব্যাপারে পুলিশ জানায়, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিমকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধানমন্ডি থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। তবে কখন কোথায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে থানা পুলিশকে কিছুই জানায়নি তারা।ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, এরই মধ্যে হবিগঞ্জ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা রওনা হয়েছেন। আতাউর রহমান সেলিমকে হবিগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।এব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রেজাউল হক খান বুধবার (১৮ সেপ্টম্বর) সকালে ‘সিলেটভয়েসকে’ বলেন,  হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিমকে আনতে জেলা পুলিশের একটি টিম গাড়ি নিয়ে ঢাকা গিয়েছেন। আশা করছি কিছুক্ষণের ভিতরেই তারা পৌঁছে যাবে। হবিগঞ্জে আনার পর তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।এআই 
    মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দুর্নীতির মহা উৎসব
    বেকার যুব সমাজকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করার চ্যালেঞ্জ নতুন বাংলাদেশের। সে আলোকে কাজ শুরু করেছে অন্তর্ববর্তীকালীন সরকার। কিন্তু মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দুর্নীতিতে ভেঁঙ্গে পড়েছে। বিশেষ করে প্রশিক্ষকরা এ কেন্দ্রকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। চলছে দুর্নীতির মহা উৎসব। প্রশিক্ষক ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। অনুসন্ধানে এমন চিত্র উঠে এসেছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতার টাকা আত্মসাৎ, ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স শিক্ষার্থীদের বিআরটিএ পরীক্ষায় উত্তির্ণ করে দেয়ার নামে, ডোপটেস্ট সিরিয়াল, আইটেস্ট ও মেডিকেল সার্টিফিকেটের কথা বলে টাকা আদায়, রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সনদ বিক্রি, ভাড়া পরিশোধ না করে সরকারি বাসায় বসবাস, এএসএসইটি প্রকল্পের কাঁচামালের টাকা আত্মসাৎ, গাড়ির তেল বিক্রি, ব্যক্তিগত কাজে প্রশিক্ষণার্থীদের গাড়ি ব্যবহার ও সময়মতো ক্লাস না করারও অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। দুর্নীতি করে এ প্রতিষ্ঠানের অনেকেই ইতিমধ্যে গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। রয়েছে বড় অংকের ব্যাংক ব্যালেন্স। তারা জিরো থেকে হিরো হয়েছেন।এরমধ্যে দীর্ঘদিন যাবত ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বেকার প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে অর্থ লোপাট করে নিজেদের আখের ঘুছিয়েছেন কোর্সের ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ইমন, মাজহারুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ। বছরের পর বছর প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অর্থ আদায় এবং চিকিৎসকের নকল সিল ও ভুয়া বিএমডিসি নম্বর দিয়ে জাল স্বাক্ষর করারও অভিযোগ রয়েছে।জানা যায়, তিন মাস অন্তর অন্তর বছরে চারটি গ্রুপে ৩২০ জন বেকার যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণার্থীরা অভিযোগ করেন ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সে নামমাত্র প্রশিক্ষণ করানো হয়। কোর্স ইন্সট্রাক্টরের ফাঁকিবাজি এবং অনিয়মের কারণে প্রকৃত প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। ব্যাহত হচ্ছে  সরকারের মহতি উদ্যোগ।ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সের প্রশিক্ষনার্থীদের ‘ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেট’ ফরম-২ এ দেখা যায় ‘ডা: চন্দ্র শেখর কর, মেডিকেল অফিসার’ এ নাম ও পরিচয়ে একটি সিল রয়েছে। তার নিচে হাতে লেখা রেজিষ্ট্রেশন নং অ-৭৫২৩৪ আর সিলের উপরে একটি স্বাক্ষর। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে খোঁজ নিয়ে এ রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ও চিকিৎসকের কোন অস্থিত্ব পাওয়া যায়নি। এছাড়া ওই চিকিৎসক ভুয়া ও তার সিল জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন কর্তৃপক্ষ।প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে ড্রাইভিং উইথ অটোমেকানিক্স কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী তৌফিকুল ইসলাম বলেন, মাত্র ৬০ টাকার সরকারি ফি দিয়ে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা থাকলেও ভর্তি স্লিপে ৬০ টাকার জায়গায় নেয়া হয় ১’শ টাকা। লার্ণার ফি বাবদ নেয়া হয় ৮’শ টাকা। অথচ লার্ণার ফি প্রদানের পর আমাদের মুঠোফোনে ৫’শ ২৫ টাকার ক্ষুদেবার্তা আসে। এছাড়া বিআরটিএ অফিস থেকে ডোপটেস্টের সিরিয়াল আগানো ও আইটেস্টের জন্য ২’শ টাকা করে ৪’শ টাকা। চক্ষু হাসপাতালে আইটেস্ট না করে প্রশিক্ষক নিজেই তৈরি করেন। ক্লাস এবং পরীক্ষার কথা বলে ২’শ টাকা দিয়ে একটি স্পাইরাল বাইন্ডিং বই কিনতে বাধ্য করা হয়।কোর্সের শেষদিকে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার কথা বলে ২ হাজার ৫’শ টাকা নেয়া হয়েছে। একই অভিযোগ করেন প্রশিক্ষণার্থী মো. নাইম মিয়া, আনোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান বিল্লাল, জুনেদ মিয়া, অনিক বর্ধন, চয়ন রবি দাস, আব্দুল ওয়াজুদ ফাহাদ এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী। চলমান ১২ তম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী আব্দুস সামাদ বলেন, আমাদের পূর্ববর্তী ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে বিআরটিএ অফিসে দেয়ার কথা বলে ২ হাজার ৫’শ টাকা নেয়া হয়েছে। আমরা ভর্তি হওয়ার পরও ইশারা ইঙ্গিতে ঘুষের টাকা দেয়ার জন্য আমাদের বলা হয়। কিন্তু ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর আর বলা হয়নি।কোর্স ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ আবু ইউসুফ ইমন বলেন, “প্রশিক্ষণার্থীদের সুবিধার জন্যই তাদের কাছ থেকে ২’শ টাকা করে নিয়ে কম্পিউটারের দোকান থেকে চিকিৎসকের ভুয়া সিল দিয়ে স্বাক্ষর করে চিকিৎসা সনদ প্রদান করছি। শিক্ষার্থীদের ড্রাইভিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণের জন্য মৌলভীবাজার বিআরটিএ’কে শিক্ষার্থী প্রতি ২ হাজার ৫’শ টাকা দিতে হয়”।একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২’শ টাকা সরকারি ফি দিয়ে বিদেশগামীদের তিন দিনের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করলেও অনেক ক্ষেত্রেই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ না করিয়েই বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তির পর উপস্থিত দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি হচ্ছে। এ সিন্ডিকেটের মূলহুতা জাহিদুল ইসলাম, আল আমিন, শোয়াইব ও হান্নান। এ সিন্ডিকেট নিজেরাই বিদেশগামীদের বায়োমেট্টিক হাজিরা দেয়। স্থানীয়রা যাতে বুঝতে না পারেন এজন্য সিন্ডিকেট অধিকাংশ সময় মৌলভীবাজার ব্যতিত অন্য জেলার বিদেশগামীদের কাছে ৩-৪ হাজার টাকায় সনদ বিক্রি করে। গত ১৩ আগস্ট মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ইস্যুকৃত বড়লেখা উপজেলার প্রবাসগামী আব্দুল জলিলের সনদ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। জানা যায়, আব্দুল জলিল প্রশিক্ষণ না দিয়ে ৩ হাজার টাকায় সনদ কিনেছেন। ওই প্রবাসগামীর সনদে ভুলক্রমে দেশের নাম সৌদি আরবের জায়গায় কাতার এবং আব্দুল জলিলের ছবির জায়গায় অন্যজনের ছবি লাগানো হয়। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি ফেঞ্চুগঞ্জ টিটিসি থেকে আরেকটি সনদ নেন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইস্যুকৃত যুক্তরাজ্যগামী দুইজন প্রবাসীর সনদ ওই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। তারাও প্রশিক্ষণ না দিয়ে সনদ কিনেছেন।সূত্র বলছে, ভাড়া পরিশোধ না করে সরকারি ভবনে থাকছেন ইলেকট্রিক্যাল ইন্সট্রাক্টর এস এম জাহিদুল ইসলাম, সিভিল ইন্সট্রাক্টর রমজান আলী, মাজহারুল ইসলাম, কম্পিউটার প্রশিক্ষক এমদাদুল হক, ইমরান, হোসেন আলী, সাজু জয়রাম, হাউজ কিপিং নাসরিন, স্কীল্ড ওয়ার্কার শোয়াইব, মো: হান্নান মিয়া ও মো: আল-আমিন। পরিবার নিয়ে থাকেন ইন্সট্রাক্টর মো: আসাদুল ইসলাম। ভাড়া পরিশোধ না করার কথা নিশ্চিত করে অধ্যক্ষ মো. আকতার হোসেন বলেন, “তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে পূর্বের ভাড়া সহ পরিশোধ করবে”। দুর্নীতি করে স্কীল্ড ওয়ার্কার শোয়াইব আখাউড়ার কশবায় ৩তলা বিল্ডিং ও সিভিল ইন্সট্রাক্টর রমজান আলী এক্স করলা গাড়ি কিনেছেন। গাড়িটি মৌলভীবাজা শহরে ভাড়ায় চলে। জাহিদুল ইসলাম প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ইবেলিতে ইনভেস্ট করেছিলেন। সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন কিংবা অডিটে আসলে নানা উপটোকন ও গিফট দেন দুর্নীতিবাজ প্রশিক্ষকরা। কয়েক মাস পূর্বে অডিটে আসেন উপপরিচালক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা। উনি সিলেট বিমানবন্দরে যেতে মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বের হয়ে একটু সামনে আগালে গাড়ি থামিয়ে উঠেন প্রশিক্ষক রমজান আলী, এস এম জাহিদুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম, শোয়াইব ও আল-আমিন। মৌলভীবাজার ইনফিনিটি শোরুম থেকে ওই কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের ২০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের কাপড় কিনে দেন।বিআরটিএ মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মু. হাবিবুর রহমান বলেন, “ওরা বাঁচার জন্য আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ তোলছে”।মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. আকতার হোসেন বলেন, “আমি যোগদানের পর থেকে এসব অনিয়ম দূরকরার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবগত করেছি। ইতিমধ্যে অনেক প্রদক্ষেপও নিয়েছি। তবে একা আমার পক্ষে দীর্ঘদিনের অনিয়ম বন্ধ করা অনেক কষ্ট হচ্ছে। যেহেতু আপনি বিষয় গুলো অবগত করলেন আগামীতে আরও কঠোর হব”। ওই অধ্যক্ষ ২০২২ সালের ২২ জুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন।এমআর

    অনলাইন ভোট

    পাপনের পরিবর্তে নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ফারুক আহমেদ কি পারবেন ক্রিকেটকে বদলে দিতে?

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    বিদেশি শিক্ষার্থী প্রবেশে আরও কঠোর পদক্ষেপ কানাডার
    আগামী বছরের মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের প্রবেশ সীমিত করার ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে কানাডা। কানাডার ইমিগ্রেশন মন্ত্রী মার্ক মিলার এক বিবৃতিতে এ তথ্য সবার সামনে তুলে ধরেন। এক প্রতিবেদনে আইসেফ মনিটর এ তথ্য জানায়।মার্ক মিলারের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৬ সালের মধ্যে অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।মিলার আরও বলেন, এখন থেকে আর চাইলেই কানাডায় প্রবেশ করা যাবে না। ইতিমধ্যে যারা প্রবেশ করেছেন, তারা-ও চাইলেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন না। ইমিগ্রেশন মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২০২৫ সালে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৩৭ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীকে কানাডায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।বিগত বছরগুলোতে অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে করোনা মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর বদলে যায় পরিস্থিতি। এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে জোয়ারের মতো আসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে থাকে কানাডা কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২৩ সাল থেকে বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ সীমিত করার পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। দেশটির পরিসংখ্যান দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৫ লাখ ৯ হাজার ৩৯০ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীকে প্রবেশ করতে দিয়েছিল কানাডা। বিপরীতে ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে প্রবেশ করতে পেরেছেন মাত্র ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২০ জন। সম্প্রতি, স্থানীয় সরকারের এক নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি পরাজিত হয়। প্রকৃতপক্ষে, দলটির এমন ফলাফলের পেছনে বড় কারণগুলোর একটি হচ্ছে ভোটারদের অভিবাসীবিরোধী মনোভাব।এমন পরিস্থিতিতে, সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের প্রবেশ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এসএফ 
    কেউ অনুপ্রবেশ করলে সোজা তাকে গুলি করব: কমলা হ্যারিস
    বাড়িতে কেউ অনুপ্রবেশ করলে সোজা তাকে গুলিই করবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে বেশ হাসতে হাসতেই এ কথা বলেন কমালা। খবর ফক্স নিউজের।অবশ্য কথাটি বলার পরই সতর্ক হয়ে ওঠেন ডেমোক্র্যাটদের নতুন এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তিনি বলেন, মন্তব্যটি করা হয়তো তার উচিত হয়নি। বেশ হাস্যরসাত্মকভাবে মজার ছলেই মন্তব্যটি করলেও এ নিয়ে সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক অপেরা উইনফ্রের একটি সাক্ষাৎকারে মুখ ফসকে কমলা বলে ফেলেন এ কথা। নিজস্ব সুরক্ষার জন্য কমলা হ্যারিস সবসময় একটি হ্যান্ডগান বহন করেন। যেটির কথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন ২০১৯-এ আরও একটি নির্বাচনী প্রচারণাতেও। মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর সাম্প্রতিক হামলা চেষ্টার ব্যাপারে এ কথা বলেন তিনি।এসএফ 
    গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ২৮
    গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে দখলদার ইসরায়েলের হামলায় ৪১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাড়ে ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হচ্ছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে। ভয়ংকর অবস্থা উত্তর গাজারও। সেখানে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন একটি পরিবারের প্রায় সব সদস্যই।গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর বলেছে, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এরপর গাজা শহরে দুটি ইসরায়েলি হামলায় ১২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার দুই শিশু ও এক নারীসহ অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ গাজার রাফাতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার পর তাদের দল দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে।এতে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজা শহরের একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক নারী এবং দুই মেয়ে শহীদ হয়েছেন।সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলায় আরও সাত ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্যান্যরা আহত হয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, একটি যুদ্ধবিমান আজাম পরিবারের একটি বহুতল বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। যার ফলে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং ভেতরে হতাহতের ঘটনা ঘটে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ও আহত ব্যক্তিদের সন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।মূলত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪১ হাজার ২৭২ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৬ হাজার ৭৯৫ জন শিশু এবং ১১ হাজার ৩৭৮ জন নারী। এ ছাড়া ৯৫ হাজার ৫৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।এসএফ 
    যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচারককে গুলি করে হত্যা
    যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে এক বিচারককে প্রকাশ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্টাকিতে লেচার কান্ট্রি কোর্টহাউসে এই গুলির ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই কেভিন মুলিনস নামে ওই বিচারকের মৃত্যু হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারককে হত্যার ঘটনায় লেচার কান্ট্রি শেরিফ শাওন স্টিনেসকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই বিচারকের সঙ্গে আদালতের মধ্যেই তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তাকে গুলি করা হয়। তবে এর পেছনে কী কারণে রয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা খুঁজে পায়নি পুলিশ।রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল কোলেম্যান এক্স পোস্টে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় তদন্ত করা হবে এবং সঠিক বিচার করা হবে। কেন্টাকির রাজ্য সরকার বিচারক নিহতের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘পৃথিবীতে এটি অধিকতর নিন্দনীয় ঘটনা। আমি প্রার্থনা করি আগামী দিনগুলো ভালো হোক।এফএস
    ঢাকা চাইলে হাসিনাকে হস্তান্তর করতে পারে দিল্লি
    ব্যাপক গণ-বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক মাসের বেশি সময় ধরে ভারতে অবস্থান করা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি এখন তুঙ্গে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানানোর পর এই দাবিটি সুনির্দিষ্ট আইনি রূপ নিয়েছে। ২০১০ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছিল।শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও হত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে গুমসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানায়, তখন নয়াদিল্লির আইনি উপায় কী হবে? এ নিয়ে ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে দীর্ঘ এক নিবন্ধ লিখেছেন ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির জিন্দাল গ্লোবাল ল স্কুলের অধ্যাপক প্রভাষ রঞ্জন।নিবন্ধে তিনি বলেছেন, ভারতের প্রত্যর্পণ আইন-১৯৬২ ছাড়াও শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিও বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ১২(২) ধারা ও ভারত-বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তগুলোও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশ ২০১৩ সালের চুক্তির ওপর নির্ভর করতে পারে। চুক্তির ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারত তাদের ভূখণ্ডে কেবল সেই ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য; যারা প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ (ভারত ও বাংলাদেশি আইনের আওতায় কমপক্ষে এক বছরের কারাদণ্ডের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ) করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে এই অনুচ্ছেদ সেই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।বাংলাদেশের আদালতে এখনও দোষী প্রমাণিত না হলেও হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে। ভারত থেকে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য তাকে এসব অপরাধে অভিযুক্ত করাই যথেষ্ট। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির অনুচ্ছেদ ১০(৩)-এর আওতায় প্রত্যর্পণ চাওয়ার জন্য অনুরোধকারী রাষ্ট্রের পক্ষে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও যথেষ্ট।এক্ষেত্রে অনুরোধ জানানো রাষ্ট্রের কাছে সংঘটিত অপরাধের প্রমাণ শেয়ার করার দরকার নেই। ২০১৬ সালে চুক্তিতে আনা একটি সংশোধনীর কারণে এটির দরকার নেই। তবে মূল চুক্তিতে অনুরোধকারী রাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো দেশের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ অন্যান্য প্রমাণ শেয়ার করার শর্ত ছিল। অভিযুক্তদের প্রত্যর্পণ ত্বরান্বিত করার জন্য ২০১৬ সালে অপরাধের প্রমাণ শেয়ার করার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করা হয়।যে কারণে বাংলাদেশ এ ধরনের অনুরোধ করলে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে ভারতের। তবে ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিতে কোনও ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম বিধানও রয়েছে।প্রথমত, ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে অপরাধী ব্যক্তি যদি রাজনৈতিক নেতা হন, তাহলে তার প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। আবার ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ৩১(১) ধারায় রাজনৈতিক ছাড়ের বিধান রয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য ভারত কি এসব বিধানের ওপর নির্ভর করতে পারে? এর জবাব হলো, না। কারণ চুক্তির ৬(২) ধারায় বিশেষভাবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধের মতো অপরাধকে বাদ দেওয়া হলেও আন্তর্জাতিক আইন গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে রাজনৈতিক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।দ্বিতীয়ত, যদি সেই ব্যক্তির প্রত্যর্পণ অপরাধের দায়ে আদালতে বিচার করা হয়, তাহলে অনুরোধকৃত রাষ্ট্রকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার অনুমতি দিয়েছে অনুচ্ছেদ ৭। এই বিধানটি হাসিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ তিনি ভারতীয় আদালতে বিচারের মুখোমুখি হবেন, এমন কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই।তৃতীয়ত, চুক্তির অনুচ্ছেদ ৮(১)(এ)(আইআইআই) ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন ব্যক্তি প্রত্যপর্ণের জন্য অনুরোধকৃত রাষ্ট্রকে বোঝাতে পারেন যে, তাকে হস্তান্তর করা হলে দেশে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন না এবং তাকে প্রত্যর্পণ করাটা নিপীড়নমূলক হবে, তাহলে অনুরোধকৃত রাষ্ট্র সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে প্রত্যর্পণ করা থেকে বিরত থাকতে পারে। কারণ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ‘‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে সরল বিশ্বাসে’’ করা হয়নি বলে জানাতে পারবে অনুরোধকৃত রাষ্ট্র।একই নীতি ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ২৯ ধারায় প্রতিফলিত হয়েছে। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হতে পারে। যে পরিস্থিতিতে তিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন এবং তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বাংলাদেশে বিভিন্ন বিষয় পরিচালনা করছেন, তাতে যুক্তি দেওয়া যেতে পারে যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রতিহিংসা ও রাজনৈতিক শত্রুতার দ্বারা প্রভাবিত। যদি তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে তার সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সুতরাং তার প্রত্যর্পণ হবে নিপীড়নমূলক এবং অন্যায্য।এই ব্যাখ্যা বাংলাদেশের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। যারা দাবি করবে, শেখ হাসিনাকে তার স্বৈরাচারী শাসনের জন্য জবাবদিহি করা হবে ন্যায়বিচারের স্বার্থেই। কোনও বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থা কার ব্যাখ্যা সঠিক তা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ৮(১)(এ)(আইআইআই) ধারা অনুযায়ী, উভয়পক্ষই নিজেদের আইনি ব্যাখ্যায় অটল থাকতে পারে।তবে ভারতের সামনে আরেকটি আইনি বিকল্প আছে। তবে সেটি হবে কঠিন। চুক্তির ২১(৩) ধারায় ভারতকে যেকোনও সময় নোটিশ দিয়ে এই চুক্তি বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নোটিশ প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস পর চুক্তিটি আর কার্যকর থাকবে না। এছাড়া চুক্তি বাতিলের আগে করা প্রত্যর্পণের অনুরোধের প্রক্রিয়া করার বিষয়ে চুক্তিতে কিছু বলা হয়নি।ভারত এই বিকল্প ব্যবহার করবে কি না তা নির্ভর করবে দেশটি শেখ হাসিনাকে কতটা মূল্য দেয় তার ওপর; যিনি নয়াদিল্লির ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে চায়। একতরফাভাবে চুক্তিটি বাতিল করলে ঢাকার সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক খারাপ হতে পারে; যা ভারতের বিভিন্ন কৌশলগত ও কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে।দিন শেষে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আহ্বান এখন আইনি বিষয়ের চেয়ে অনেকটা রাজনৈতিক হয়ে গেছে। তবে ভারত যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন, তাদের রাজনৈতিক চাহিদা পূরণ এবং যেকোনও সিদ্ধান্তের ন্যায্যতার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের ভাষাকে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।এসএফ
    শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
    গণবিপ্লবের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে লঙ্কান প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।সাক্ষাৎকারে তাকে শেখ হাসিনা ইস্যু ও বাংলাদেশ-ভারতের করণীয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে বিক্রমাসিংহে বলেন, “প্রথমে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে— মানুষকে প্রথমে আস্থা দিতে হবে। শেখ হাসিনার বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যু। এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেক নেতা নিজ দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যান। এরপর তারা বিদেশেই থাকেন। আমি এখন প্রাধান্য দেবে… বাংলাদেশ যেন স্থিতিশীল থাকে।”তিনি আরও বলেছেন, “যদি হাসিনা দেশের বাইরে থাকে। তাহলে তাকে বাইরেই থাকতে দিন। আমি মনে করি স্থিতিশীলতা দ্রুত ফিরতে হবে। সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমরা সবাই চাই বাংলাদেশ স্বাভাবিকতার উপর নজর দেবে এবং দেশ কীভাবে চালাবে সেখানে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করুক।”২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায়ও বাংলাদেশের মতো গণবিপ্লব হয়। সাধারণ মানুষের রোষে পড়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষে দেশ ছেড়ে পালান। এরপর প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে। আগামী শনিবার দেশটিতে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এতে নিজের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে পারবেন রনিল।ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, হাসিনাকে ফেরানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এটি কতদূর এগিয়েছে সেটি নিশ্চিত নয়।এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন হাসিনা। এছাড়া দিল্লির অন্যতম অভিজাত পার্ক লোদি গার্ডেনেও ঘুরতে দেখা গেছে সাবেক এই স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীকে।সূত্র: ফার্স্টপোস্ট এসএফ
    আজই শেষ ভিসার মেয়াদ, কী করবেন শেখ হাসিনা?
    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের মুখে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট বোন শেখ রেহানার সঙ্গে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। কূটনৈতিক পাসপোর্টে দেশ ছাড়ায় তিনি ভারতে বৈধভাবে ৪৫ দিন অবস্থান করতে পারবেন। তার এ ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। ফলে তার ভাগ্যে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।এই নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনে ভারতে থাকবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, কূটনৈতিক পাসপোর্টে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছিলেন কোন আইনে শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন তা তারা জানেন না। এ নিয়ে ভারতের কাছে কিছু জানতে চায়নি ঢাকা। ভারত চাইলে যে কাউকেই সে দেশে আশ্রয় দিতে পারে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।এর আগে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন। এ সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ভারতে তার অবস্থানের কারণে কেউ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। কেননা আমরা তাকে ফেরাতে চাই। তিনি সেখানে থেকে যেসব কথা বলছেন তা সমস্যার সৃষ্টি করছে। তিনি যদি চুপ থাকতেন তাহলে আমরা ভুলে যেতাম। তিনি নিজের জগতে থাকলে জনগণও বিষয়টি ভুলে যেত। কিন্তু তিনি ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিষয়টি কেউ ভালোভাবে নিচ্ছে না।তিনি বলেন, আমরা বেশ দৃঢ়ভাবে বলেছি, তার চুপ থাকা উচিত। এটি আমাদের প্রতি অবন্ধুসুলভ আচরণ। তিনি সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সেখান থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমন নয়- তিনি স্বাভাবিক পথেই সেখানে গেছেন। জনগণের অভ্যুত্থান এবং জনরোষের কারণে তিনি সেখানে গেছেন।সংবাদমাধ্যম জি নিউজে বলা হয়েছে, কোনো কোনো মহলের ধারণা হয়তো শেখ হাসিনাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় ভারতে থাকার বিষয়টি এখন দেশটির সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।আরইউ
    সিন্ধু নদ চুক্তি : পাকিস্তানকে নোটিশ দিলো ভারত
    ৬৪ বছর আগে স্বাক্ষরিত ‘সিন্ধু নদ চুক্তি’ নিয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ দিয়েছে ভারত। সেই নোটিশে চুক্তির কয়েকটি ধারা পর্যালোচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।এই চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত ৩০ আগস্ট ইসলামাবাদে পাঠানো নোটিশ। সেখানে চুক্তির ১৩ নম্বর ধারার ৩ নম্বর উপধারাটি পর্যালোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।ভারতী উপমহাদেশের দীর্ঘতম নদী সিন্ধু তিব্বতের মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের জম্মু-কাশ্মির বং পাকিস্তানের কাশ্মির বা আজাদ কাশ্মিরের গিলগিট-বাল্টিস্তানের ভেতর দিয়ে দেশটির পুরো দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে প্রবাহিত হয়ে সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচির কাছে আরব সাগরে মিলিত হয়েছে।৯ বছর ধরে আলোচনার পর ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিন্ধু নদ চুক্তি (ইন্দুস ওয়াটার ট্রিটি- আইডব্লিউটি) স্বাক্ষর করে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ। মধ্যস্থতাকারী এবং সাক্ষী হিসেবে বিশ্বব্যাংকও স্বাক্ষর করেছিল চুক্তিতে।ভারতের ওই কর্মকর্তা বলেন, “জম্মু-কাশ্মিরে আমাদের দু’টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এ কারণে চুক্তির ১৩ নম্বর ধারার ৩ ধারাটি আমাদের পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছি। বিশ্বব্যাংকও এ ইস্যুতে উভয়পক্ষের সমঝোতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।”প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলোয়ামায় পাকিস্তানপন্থি জঙ্গিদের হামলা এবং তার জেরে কয়েক মাস পর নয়াদিল্লি কর্তৃক জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্বশাসন বাতিলের পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতেও। সিন্ধু নদ চুক্তি সেসবেরই একটি অংশ।এর আগে এই চুক্তি বিভিন্ন ধরা পর্যালোচনা করার জন্য বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে সালিশী বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তান; তবে ভারত সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।সূত্র : এনডিটিভিএসএফ
    ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রস্তুত, বলছেন জেলেনস্কি
    ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তি ফেরাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক শান্তি পরিকল্পনা উল্লেখ করেছেন। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ে তিনি সেই পরিকল্পনা উন্মোচন করতে পারেন।রাশিয়ার লাগাতার হামলার মুখেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দেশে শান্তি ফেরানোর রূপরেখা প্রস্তুত হয়ে গেছে। এমনকি সংকট চলার সময় ‘ফ্রোজেন কনফ্লিক্ট’-এর বদলে স্থায়ী শান্তির পরিকল্পনাও নাকি প্রস্তুত।আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগে তিনি এই মন্তব্য করলেন। এর আগে গত মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে সেই পরিকল্পনা পেশ করার অঙ্গীকার করেছিলেন জেলেনস্কি।উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডে শান্তি সম্মেলনে ইউক্রেন রাশিয়ার সৈন্যদের নিজস্ব ভূখণ্ড থেকে পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং হামলা চালানোর জন্য রাশিয়ার জবাবদিহিতার শর্ত আরোপ করেছিল। চলতি বছরেই রাশিয়ার অংশগ্রহণসহ আরও এক শান্তি সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা চলছে। জেলেনস্কি নভেম্বর মাসেই এমন সম্মেলনের পূর্বাভাস দিয়েছেন।প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখনও কিছু জানাননি। তবে তার দেশ প্রায় আড়াই বছরের যুদ্ধ অবসানের কোন কোন পূর্বশর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত, সেই পরিকল্পনা তা ইঙ্গিত করবে।বুধবার রাতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া দৈনিক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, অনেক আলাপ আলোচনার পর বিস্তারিত এই রূপরেখা প্রস্তুত হয়ে গেছে। তার মতে, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয়ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।জেলেনস্কির মতে, ইউক্রেন তথা গোটা ইউরোপের জন্য নির্ভরযোগ্য ও স্থায়ী শান্তির কোনও বিকল্প থাকতে পারে না।নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জেলেনস্কি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী নভেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর নতুন মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের প্রতি কী মনোভাব দেখাবে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।জেলেনস্কির শান্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে রাশিয়ার মনোভাব কী হবে, সে বিষয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। নীতিগতভাবে শান্তির প্রস্তাবে সায় দিলেও ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে কুরস্ক অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করার পর মস্কো আলোচনা সম্পর্কে অনীহা দেখাচ্ছে।ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনাও রাশিয়া বার বার উড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলে ইউক্রেনের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশা করছে রুশ নেতৃত্ব।এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়া শান্তির বিষয়ে কতটা আগ্রহ দেখাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।এসএফ 
    মণিপুরে সংঘাতের আবহে মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতারে ঘিরে ফেলছে ভারত
    দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে অস্থিতিশীল অবস্থায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। সম্প্রতি রাজ্যটিতে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়েছে এবং এতে ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও।এমন অবস্থায় মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত এলাকা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলতে চাইছে ভারত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সঙ্গে ভারতের ১৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এরমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে মণিপুর রাজ্যের সীমান্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার।ইতোমধ্যেই মিয়ানমার সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার অঞ্চল কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই বলছে, ভারত ও মিয়ানমারের পুরো সীমান্তকে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে। সেই প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত প্রায় ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার বিস্তৃত। ৩১ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে ওই সীমান্ত বরাবর কাঁটাতার বসানো হবে।এছাড়া ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, মিয়ানমার সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার অঞ্চল ইতোমধ্যেই কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।সংবাদমাধ্যম বলছে, মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর এলাকায় মাদক ও অস্ত্রের চোরাচালানের অভিযোগ প্রায়শই উঠে থাকে। মণিপুরে অশান্তির অন্যতম কারণ হিসাবেও সীমান্তের এই পরিস্থিতিকেই ব্যাখ্যা করেছেন অমিত শাহ।পিটিআইকে ওই সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত বরাবর কাঁটাতার বসানো ও সড়ক নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এর জন্য খরচ হবে প্রায় ৩১ হাজার কোটি রুপি।মণিপুর ছাড়াও মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের ৫২০ কিলোমিটার, নাগাল্যাণ্ডের ২১৫ কিলোমিটার, মনিপুরের ৩৯৮ কিলোমিটার এবং মিজোরামের ৫১০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।পিটিআই জানিয়েছে, মণিপুরের মোরের কাছে মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর প্রায় ১০ কিলোমিটার কাঁটাতার বসানোর কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। মণিপুর ও অন্য রাজ্যগুলোতে আরও ২১ কিলোমিটার জুড়ে কাঁটাতার বসানোর কাজ চলছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মণিপুরে অশান্তির আবহে মিয়ানমারের সঙ্গে গোটা সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে মণিপুর। এছাড়া সম্প্রতি রাজ্যটিতে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।দ্য হিন্দু বলছে, ২০২৩ সালের ৩ মে থেকে মণিপুরের উপজাতীয় কুকি-জো এবং মেইতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতিগত সহিংসতায় কমপক্ষে ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সংঘাত-সহিংসতায় ৬০ হাজারেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।উল্লেখ্য, অতীতে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল পর্যন্ত অবাধ যাতায়াতের সুযোগ ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের “লুক ইস্ট” নীতির অংশ হিসাবে ২০১৮ সালে এটিকে চালু করা হয়েছিল।ওই চুক্তি অনুযায়ী, ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বসবাসকারী মানুষ সীমান্তের দু’দিকেই ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত কোনও নথিপত্র ছাড়াই যাতায়াত করতে পারতেন। সেই চুক্তিও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাতিল করে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।এসএফ 

    বিনোদন

    সব দেখুন
    হৃদয়স্পর্শী নৃশংস গল্পের সিনেমায় মিম
    গত বছর বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে 'আমি ইয়াসমিন বলছি' শিরোনামের চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন তরুণ নির্মাতা সুমন ধর। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন মিম।জানা গেছে, ছবিটির শুটিং শিগগিরই শুরু হবে। ছবিটির কাহিনী ইয়াসমিন আক্তার নামের এক কিশোরীকে ঘিরেই।১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি বাসে করে দিনাজপুরের দশমাইল মোড় এলাকায় নামেন ইয়াসমিন। তার বয়স ছিল আনুমানিক ১৬ বছর। ওই এলাকায় একটি পানের দোকানের সামনে তিনি অপেক্ষা করছিলেন দিনাজপুরগামী বাসের জন্য। সে সময় টহল পুলিশের একটি ভ্যান আসে এবং একপ্রকার জোর করেই তাকে দিনাজপুরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে কিশোরীটির মরদেহ পাওয়া যায় গোবিন্দপুর নামক জায়গায়। ওই ঘটনায় দিনাজপুরের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, আউটডোরে শুটিং করার মতো অবস্থা এখনও আসেনি। 'আমি ইয়াসমিন বলছি'র কাজ দিনাজপুর ও ঢাকার আউটডোরে হবে। এখন সবকিছু গুছিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পরিবেশ অনুকূলে আসা মাত্র শুটিং শুরু হবে।ছবিটি প্রসঙ্গে মিম জানিয়েছিলেন, 'এই সিনেমার গল্পটা পড়ে কেঁদে ফেলেছিলাম আমি। এমন হৃদয়স্পর্শী, নৃশংস ঘটনা। সে জন্যই এতে যুক্ত হওয়া।'এদিকে মিম অভিনীত 'দিগন্তে ফুলের আগুন' সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক। এই সিনেমায় পান্না কায়সার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিম।
    অর্থাভাবে বন্ধ সোহম চক্রবর্তী-ইধিকা পালের 'বহুরূপ'
    টলিউডের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ সোহম চক্রবর্তী ও ইধিকা পাল। এই তারকা জুটি নিয়ে পরিচালক আকাশ মালাকার নির্মাণ করছেন 'বহুরূপ' শিরোনামের একটি সিনেমা। এতে সোহমকে সাতটি আকর্ষণীয় লুক দেখা যাবে। ফলে, ঘোষণার পর থেকেই এই ছবিকে ঘিরে দর্শকের কৌতূহল। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছিল সিনেমাটির শুটিং। কয়েক ধাপে শুটিং হবার পর এবার নাকি বন্ধ হয়ে গেছে! গুঞ্জন, ইউনিটের বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ছবির শুটিং বন্ধ। এই অর্থাভাব কাটাতে প্রযোজককে বেশ কয়েক দফা অনুরোধ করেন পরিচালক। তিনি চান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিনেমার দৃশ্যধারণ শেষ করতে৷ ছবির পরিচালক আকাশ মালাকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বকেয়া পারিশ্রমিক সংক্রান্ত সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন। কিন্তু ছবির শুটিং যে বন্ধ হয়ে গেছে, তা মানতে নারাজ পরিচালক। আকাশ বললেন, 'পারিশ্রমিক বাকি থাকায় সমস্যা হয়েছিল। প্রযোজকেরা পরে সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন। আর ছবির শুটিং বন্ধ হয়ে গেছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।'পরিচালক জানালেন, ছবির আরও তিন দিনের শুটিং বাকি রয়েছে। তার কথায়, 'আমাদের শুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝে বৃষ্টির জন্য পিছিয়ে যায়।'আকাশ জানালেন, কলাকুশলীদের থেকে সময় পাওয়া গেলে চলতি মাসের মধ্যেই ছবির শুটিং তিনি শেষ করে ফেলতে পারবেন।
    তমা মির্জাকে ছেড়ে তানজিন তিশায় মজলেন রায়হান রাফী?
    চিত্রনায়িকা তমা মির্জা ও পরিচালক রায়হান রাফীর প্রেমের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির 'ওপেন সিক্রেট'। দুজনের একসঙ্গে চলাফেরা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি; এক কথায় একাকার ছিলেন তমা-রাফী। শুধু তাই নয়, পরিচালক কোনো সমস্যায় পড়লেও এগিয়ে আসতেন নায়িকা। দুজনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রেমের রূপ নিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সিনে ইন্ডাস্ট্রির সকলে অপেক্ষায় ছিলেন কবে বিয়ের ঘোষণা দেন তমা-রাফী। তবে শেষ পর্যন্ত দু’জনের সম্পর্ক বিয়ে অবধি পৌঁছালো না। কেননা তার আগেই সেই সম্পর্কের ইতি টানলেন রাফী। তাদের সম্পর্ক নিয়ে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে পরিচালক জানিয়েছেন, তাদের বন্ধুত্বের জায়গা আগের মতোই রয়েছে। তবে গুঞ্জন যেটা ছিল সেটি আর নেই।তুফানের নির্মাতার বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। তবে কি ভেঙে গেল তমা-রাফীর প্রেম? ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই বলেছেন, হয়ত দুজনের মনোমালিন্য হয়েছে। সেখান থেকেই রাফী অভিমানের সুরে কথাটি বলে থাকতে পারেন। এ প্রসঙ্গে জানতে তমা মির্জার সঙ্গে যোগাযোগ করে সময়ের কণ্ঠস্বর। তিনি এ বিষয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি নন।তবে নায়িকা তমা মির্জার সঙ্গে রায়হান রাফীর গভীর প্রেমের বিষয়টি শোবিজ পাড়ায় ছিল 'ওপেন সিক্রেট'. এদিকে তমা মির্জার সঙ্গে ব্রেকআপ হবার নেপথ্যে রয়েছে অপর এক নায়িকা। যে কিনা রাফির পরিচালনা একটি ওয়েব ফিল্মে কাজ করতে চলেছেন। এই ওয়েব ফিল্মের নাম 'ব্লাক মানি'। এতে অভিনয় করবেন তানজিন তিশা।  এই ওয়েব ফিল্মের সঙ্গে যুক্ত হতে গিয়েই রাফি তিশা একে অপরের মন দেয়া নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সময়ের কণ্ঠস্বরকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র। এ প্রসঙ্গে জানতে তানজিন তিশার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রেমের বিষয়টি অস্বীকার করেন। বলেন, এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন শুনেই তো কেমন জানি লাগছে। এ বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলতে চাইনা।জানা গেছে, আগামী মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে রায়হান রাফী পরিচালিত তানজিন তিশা অভিনীত 'ব্লাক মানি' ওয়েব ফিল্মটির শুটিং। সৈয়দপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এটির দৃশ্য ধারণ করা হবে।
    সালমান শাহর জন্মদিন আজ
    আজ বাংলাদেশের সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহর ৫৩তম জন্মদিন। সবার প্রিয় এ নায়ক ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে পাড়ি জমান। সালমানের মৃত্যুবার্ষিকী এবং জন্মদিন এলেই যে তাকে নিয়ে আলোচনা হয় এমনটি নয়, বছরজুড়ে নানা কারণে তিনি আলোচনায় থাকেন। সালমান শাহর জন্মদিন উপলক্ষে দেশের নানা অঞ্চলে সালমানভক্তদের গঠিত ‘সালমান শাহ ফ্যান ক্লাব’র সদস্যরা তার জন্মদিন উদযাপন করবে। তবে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতি’ সালমান শাহর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ কিছু করছে না। সালমান শাহর জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। সালমানের দাদার বাড়ি সিলেট শহরের শেখঘাটে আর নানার বাড়ি দারিয়া পাড়ায় । যে বাড়ির নাম এখন ‘সালমান শাহ হাউস’। তার নানা পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ে সালমানও তাই সেই নানার কারণেই আসা। স্কুলে পড়ার সময় সালমান শাহ বন্ধুমহলে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বেশ পরিতি ছিলেন।। ১৯৮৬ সালে ছায়ানট থেকে পল্লিগীতিতে পাস করেছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রে আসার আগেই ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট বিয়ে করেন তিনি। স্ত্রী ছিলেন সামিরা হক। যদিও বা সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয় করেই আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পান সালমান শাহ; কিন্তু তার আগেই তিনি নাটকে অভিনয় করেন।মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সালমান শাহ’র অভিনয় জীবন শুরু হয়। ওই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে তৌকীর আহমেদ অভিনয় করলেও সালমান শাহর চরিত্রটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরবর্তীতে আরো বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেও দারুণ প্রশংসিত হয়েছিলেন সালমান। সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও তার উপস্থিতি দর্শকের মধ্যে ভীষণ সাড়া ফেলেছিলো। যদিও বা মৌসুমীর সঙ্গে সিনেমাতে সালমানের অভিষেক হয়। পরবর্তীতে মৌসুমীর সঙ্গে আরও দুটি সিনেমা ‘স্নেহ’, ‘অন্তরে অন্তরে’তে অভিনয় করলেও আর কোন সিনেমাতে তাদের দেখা যায়নি। তবে মৌসুমীর সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলার কারণে সিনেমা না করলেও পরে শাবনূরের সঙ্গেই বেশি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন সালমান শাহ। যে জুটিকে এখনো সিনেমার অন্যতম সেরা জুটি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। সালমান শাহের সঙ্গে জুটি হয়ে আরও অভিনয় করেছিলেন শাবনাজ, শাহনাজ, লিমা, শিল্পী, শ্যামা, সোনিয়া, বৃষ্টি, সাবরিনা ও কাঞ্চি।  সালমান শাহ যেদিন মারা যান সেদিন রায়হান মুজিব পরিচালিত ‘আখেরি মোকাবেলা’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল। আর এর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ১৩ সেপ্টেম্বর (১৯৯৬) মুক্তি পেয়েছিল ‘সত্যের মৃত্যু নেই’ সিনেমাটি। মৃত্যুর পর তার সিনেমাগুলো একের পর এক দর্শকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত এবং ব্যবসাসফল হয়।এবি 

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম-মুরগি
    সপ্তাহ ব্যবধানে ফের অস্থির হয়ে ওঠেছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সম্প্রতি সরকারিভাবে ডিম ও মুরগির যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার চেয়েও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের সর্বোচ্চ দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা হওয়ার কথা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ডজন প্রতি ১৫৫ টাকায়।এ ছাড়া দাম বেড়ে গেছে মাছ, মাংস ও শাক-সবজিসহ প্রায় প্রতিটি পণ্যের। এতে বিপাকে ভোক্তারা। তাদের মতে, শুধু সরকার পরিবর্তন হলেই চলবে না, অতিমুনাফা করার মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে ব্যবসায়ীদের।ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল, মাছ ও মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।ক্রেতাদের অভিমত, সরকার বদলালেও বাজারের চিত্র বদলায়নি; অসাধুরা এখনও লুটে নিচ্ছে টাকা। আমিনুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর কয়েকদিন দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু বর্তমানে আবারও সেই একই চিত্র। সরকার বদলালেও বদলায়নি বাজারের চিত্র। এখনও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন ব্যবসায়ীরা।জানা গেছে, উৎপাদনকারী থেকে খুচরা ব্যবসায়ী কেউই মানছেন না বেঁধে দেওয়া দাম। বরং আমিষ জাতীয় খাদ্যপণ্য দুটি আগের চেয়ে বাড়তি দমে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।এদিকে, দর বাড়ার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে একপক্ষ দোষ চাপাচ্ছেন আরেক পক্ষের ওপর। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দর নির্ধারণের আগে সরকার কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেনি। উৎপাদন না বাড়িয়ে দর নির্ধারণ করলে তা বাস্তবায়ন হবে না।আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, যে কারণে বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।এসএফ 
    রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
    রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত আলাদা ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।অপসারণ করা ব্যাংক এমডিরা হলেন সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আবদুল জব্বার, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকের এমডি মো. আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) এমডি মো. হাবিবুর রহমান গাজী।ছয়টি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এমডির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে, নতুন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।এসএফ 
    বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পরিচালক ফাহমিদা খাতুন
    বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা আকতার খাতুন।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে তার নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফছানা বিলকিস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ ১৯৭২ এর আর্টিকেল ৯(৩)(সি) অনুসারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা আকতার খাতুনকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে তার যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হলো।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়েছেন ফাহমিদা খাতুন। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা করার জন্য যোগ দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে (বিআইডিএস)।পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) থেকে ডিশটিংশন বিষয়ে মাস্টার্স করেন। সেখান থেকেই পিএইচডি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টডক্টরাল সম্পন্ন করেন। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতিবিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ড. ফাহমিদা খাতুন।২০১৭ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক হিসেবে। তিনি ২০০৮-১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।এছাড়া ড. ফাহমিদা খাতুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন কমিটির (আঙ্কটাড) প্রডাক্টিভ ক্যাপাসিটি-বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের গভর্নিং বডির সদস্য।ফাহমিদা খাতুন ইউএনডিপিতে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও ইউএসএআইডিতে অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেছেন। ভিজিটিং ফেলো ছিলেন নরওয়ের ক্রিশ্চিয়ান মিকেলসেন ইনস্টিটিউট, ভারতের সেন্টার ফর স্টাডি অব সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড পলিসিতে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেডে।তিনি বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য গঠিত অর্থনীতিবিদদের প্যানেলের সদস্য ছিলেন। ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সময়কালে তিনি জি-টোয়েন্টির অধীনে টি-টোয়েন্টির এসডিজি ত্বরান্বিত করা বিষয়ক টাস্কফোর্সের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘যখন প্রথম ধরেছে কলি’ নামে ফাহমিদা খাতুনের একটি সংগীত অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।এসএফ
    সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র জমার সময় বাড়ছে
    সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নিলামকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে দরপত্র জমার সময় তিন মাস বাড়িয়েছে পেট্রোবাংলা। শর্ত শিথিল করে আরও কিছু প্রতিষ্ঠানকে নিলামে টানা উচিত বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। ২০১২ সালে ভারতের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এর পর প্রতিবেশী দেশ দুটি সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে। এবার একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে বাংলাদেশও।তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ৫৫ বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে প্রথম দফার নিলামে এখন পর্যন্ত দরপত্র কিনেছে সাতটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান।দেশে এখন দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুট। এর বিপরীতে সরবরাহ হয় ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উত্তোলন করা গ্যাস ২১০ ঘনফুট এবং আমদানি করা এলএনজি ৬০ কোটি ঘনফুট। তবে, ২০৩০ সাল নাগাদ স্থলভাগের গ্যাস উত্তোলন নামতে পারে ১৮০ কোটি ঘনফুটের নিচে। অগভীর সমুদ্রে মিলতে পারে আরও ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। তখন প্রায় ৫০০ কোটি ঘনফুট চাহিদার ৬০ ভাগ মেটাতে হবে এলএনজি আমদানি করে।এসব কিছু বিবেচনায় এনে গভীর-অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা। পরে দরপত্রের নথি, তথ্য-উপাত্ত কেনা ও জমা দেওয়ার সময় তিন মাস পিছিয়ে ৯ ডিসেম্বর করা হয়েছে।জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সমুদ্রে দ্রুতই অনুসন্ধান শুরু করা জরুরি। দেশের স্বার্থ সুরক্ষায় উৎপাদন-অংশীদারি চুক্তির বেশকিছু ধারায় সংস্কারেরও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা যত দ্রুত নিজেদের দেশে গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে পারব, ততই ভালো। যদি নিজেদের দেশে আমরা ১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসেরও ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে সেটুকুই আমাদের আমদানি করা লাগবে না। আমদানি কমানো গেলে বৈদেশিক মুদ্রার ওপরও চাপ কম পড়বে।এক্ষেত্রে অফশোর বিডিংয়ের যে প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এটির সময় এগিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেছেন, আমরা যে প্রফিটটা পাব, সেটি হবে নগদ অর্থে, গ্যাসে নয়। এ জায়গায় আমাদের আপত্তি রয়েছে। তারা করপোরেট ট্যাক্স যদি কম দেয় বা না দেয়, সে ক্ষেত্রে তাদের ভাগের গ্যাসের দাম কমাতে হবে। কস্ট রিকভারির যেসব ক্লজ রয়েছে, সেগুলো সংশোধন করতে হবে।এবি 
    ব্যাংকিং সেক্টর সংস্কারে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: অর্থ উপদেষ্টা
    বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সংস্কারসহ আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ব্যাংকিং সেক্টরে যে রিফর্ম করেছি, এক্সপোর্ট ও প্রমোশনে বিশ্বব্যাংক আমাদের সহায়তা করবে। তারা আমাদের সংস্কারে সহায়তা করবে এবং আমরা সহায়তা পাব।’প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার টিমের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাজেট সাপোর্ট, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, ফার্টিলাইজার ইম্পোর্ট, খাদ্য, বন্যা পরবর্তী সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে।এছাড়া রোহিঙ্গা সাপোর্ট নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান সালেহ উদ্দিন আহমেদ।তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছি সবগুলোর ব্যাপারেই তারা খুবই ইতিবাচক এবং মোটামুটি কনক্রিট। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অন্যান্যরাও কো-অর্ডিনেট করবে। ফান্ড এবং অন্যান্য কোনো ব্যাপারে তাদের কার্পণ্য থাকবে না।’এইচএ
    বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলার দিতে পারে বিশ্বব্যাংক: মার্টিন রেইজার
    বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে চলতি অর্থবছরেই ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার সহায়তা দিতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট।মার্টিন রেইজার বলেন, আমি আবার বাংলাদেশে আসতে পেরে আনন্দিত। এটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। উপদেষ্টার সঙ্গে ব্যাংক খাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সহযোগী। আমরা এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চাই।‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশ্বব্যাংক কী পরিমাণ সহায়তা দিচ্ছে’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে বোর্ডের পরিচালক। সেজন্য আমি কোনো অঙ্গীকার করতে পারছি না। তবে আমি এটা বলতে পারি আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাই। ধারণা করছি চলতি অর্থবছরে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেওয়া হবে।তিনি বলেন, ২ বিলিয়নের মতো অর্থ চলতি অর্থবছরের জন্য ধরা আছে, প্রকল্প রেডি হলেই এই অর্থ পাবে বাংলাদেশ। এর কিছুটা বাজেট সহায়তা বাবদ। অবশ্য পাইপ লাইনে বহু বছর ধরে পড়ে থাকা ৯ বিলিয়ন ডলার থেকেও বাংলাদেশ বাজেট সহায়তা বাবদ অর্থ ব্যবহার করতে চাইলে তাতে সম্মতি থাকবে বিশ্বব্যাংকের।মার্টিন রেইজার বলেন, এই অর্থের কিছু বাজেট সহায়তা, কিছু প্রকল্প, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতের জন্য। বাংলাদেশে কিছু প্রকল্প রয়েছে সেগুলোতে যেমন সহায়তা থাকবে তেমনি জরুরি সহায়তা হিসেবেও কিছু অর্থ বরাদ্দ থাকবে।বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের এ দেশীয় প্রধান আব্দুল্লায়ে সেক উপস্থিত ছিলেন।এইচএ
    সবজির বাজার চড়া, রফতানি বন্ধ থাকলেও কমছে না ইলিশের দাম
    রাজধানীর সবজি বাজার বেশ চড়া। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজিতে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। দুয়েকটি বাদে কোনোটির দাম ৭০ টাকার কেজির নিচে নেই।বেগুনের কেজি আবারও শতকের ঘরের কাছাকাছি। কাঁচামরিচের দরও চড়া। দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। বেগুন, করলার জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। শসার দাম উঠেছে শতকের ঘরে। আর টমেটোর স্বাদ নিতে হলে প্রতি কেজির জন্য গুনতে হবে ১৬০ টাকা। এদিকে, চড়া দামের সবজি কিনতে নাকাল ক্রেতারা।মাছের আড়তেও নেই স্বস্তি। ৪শ’ টাকা কেজির নিচে নেই চাষের রুই-কাতল। আর নদ-নদী, খাল-বিলের দেশি মাছ খেতে চাইলে দিতে হবে ৮শ’ থেকে হাজার টাকার বেশি।রফতানি বন্ধ থাকার সুফল পাচ্ছেন না ইলিশের ক্রেতারা। দাম হাকানো হচ্ছে আকাশ ছোয়া। এক কেজি ওজনের ইলিশ মিলছে ১৭শ’ থেকে ১৯শ’ টাকায়। ৭-৮শ’ গ্রামের ইলিশের জন্য গুনতে হবে ১২শ’ টাকা।এদিকে, যোগান স্বাভাবিক থাকলেও দাম বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ডালের দাম। মশুর, মুগ ও বুটের ডাল প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।কেজিতে ৫ টাকা কমে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে এখন ৫৫ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজের দাম হাকা হচ্ছে ১১৫ টাকা।এসএফ
    সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না ডিম-মুরগি
    সপ্তাহ ব্যবধানে ফের অস্থির হয়ে ওঠেছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সম্প্রতি সরকারিভাবে ডিম ও মুরগির যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তার চেয়েও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের সর্বোচ্চ দাম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা হওয়ার কথা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ডজন প্রতি ১৫৫ টাকায়।এ ছাড়া দাম বেড়ে গেছে মাছ, মাংস ও শাক-সবজিসহ প্রায় প্রতিটি পণ্যের। এতে বিপাকে ভোক্তারা। তাদের মতে, শুধু সরকার পরিবর্তন হলেই চলবে না, অতিমুনাফা করার মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হবে ব্যবসায়ীদের।ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল, মাছ ও মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।ক্রেতাদের অভিমত, সরকার বদলালেও বাজারের চিত্র বদলায়নি; অসাধুরা এখনও লুটে নিচ্ছে টাকা। আমিনুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর কয়েকদিন দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু বর্তমানে আবারও সেই একই চিত্র। সরকার বদলালেও বদলায়নি বাজারের চিত্র। এখনও বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন ব্যবসায়ীরা।জানা গেছে, উৎপাদনকারী থেকে খুচরা ব্যবসায়ী কেউই মানছেন না বেঁধে দেওয়া দাম। বরং আমিষ জাতীয় খাদ্যপণ্য দুটি আগের চেয়ে বাড়তি দমে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।এদিকে, দর বাড়ার ব্যাপারে খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে একপক্ষ দোষ চাপাচ্ছেন আরেক পক্ষের ওপর। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দর নির্ধারণের আগে সরকার কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেনি। উৎপাদন না বাড়িয়ে দর নির্ধারণ করলে তা বাস্তবায়ন হবে না।আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, যে কারণে বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।এসএফ 
    রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
    রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত আলাদা ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।অপসারণ করা ব্যাংক এমডিরা হলেন সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আবদুল জব্বার, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকের এমডি মো. আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) এমডি মো. হাবিবুর রহমান গাজী।ছয়টি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এমডির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে, নতুন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।এসএফ 
    বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পরিচালক ফাহমিদা খাতুন
    বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা আকতার খাতুন।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে তার নিয়োগের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব আফছানা বিলকিস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ ১৯৭২ এর আর্টিকেল ৯(৩)(সি) অনুসারে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা আকতার খাতুনকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে তার যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হলো।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়েছেন ফাহমিদা খাতুন। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা করার জন্য যোগ দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে (বিআইডিএস)।পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) থেকে ডিশটিংশন বিষয়ে মাস্টার্স করেন। সেখান থেকেই পিএইচডি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টডক্টরাল সম্পন্ন করেন। বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতিবিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ড. ফাহমিদা খাতুন।২০১৭ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক হিসেবে। তিনি ২০০৮-১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন।এছাড়া ড. ফাহমিদা খাতুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন কমিটির (আঙ্কটাড) প্রডাক্টিভ ক্যাপাসিটি-বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের গভর্নিং বডির সদস্য।ফাহমিদা খাতুন ইউএনডিপিতে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও ইউএসএআইডিতে অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করেছেন। ভিজিটিং ফেলো ছিলেন নরওয়ের ক্রিশ্চিয়ান মিকেলসেন ইনস্টিটিউট, ভারতের সেন্টার ফর স্টাডি অব সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড পলিসিতে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিকস অ্যান্ড ট্রেডে।তিনি বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য গঠিত অর্থনীতিবিদদের প্যানেলের সদস্য ছিলেন। ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সময়কালে তিনি জি-টোয়েন্টির অধীনে টি-টোয়েন্টির এসডিজি ত্বরান্বিত করা বিষয়ক টাস্কফোর্সের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘যখন প্রথম ধরেছে কলি’ নামে ফাহমিদা খাতুনের একটি সংগীত অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।এসএফ
    সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র জমার সময় বাড়ছে
    সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নিলামকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে দরপত্র জমার সময় তিন মাস বাড়িয়েছে পেট্রোবাংলা। শর্ত শিথিল করে আরও কিছু প্রতিষ্ঠানকে নিলামে টানা উচিত বলে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। ২০১২ সালে ভারতের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এর পর প্রতিবেশী দেশ দুটি সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে। এবার একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে বাংলাদেশও।তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ৫৫ বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। এর মধ্যে প্রথম দফার নিলামে এখন পর্যন্ত দরপত্র কিনেছে সাতটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান।দেশে এখন দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪০০ কোটি ঘনফুট। এর বিপরীতে সরবরাহ হয় ২৭০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উত্তোলন করা গ্যাস ২১০ ঘনফুট এবং আমদানি করা এলএনজি ৬০ কোটি ঘনফুট। তবে, ২০৩০ সাল নাগাদ স্থলভাগের গ্যাস উত্তোলন নামতে পারে ১৮০ কোটি ঘনফুটের নিচে। অগভীর সমুদ্রে মিলতে পারে আরও ২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। তখন প্রায় ৫০০ কোটি ঘনফুট চাহিদার ৬০ ভাগ মেটাতে হবে এলএনজি আমদানি করে।এসব কিছু বিবেচনায় এনে গভীর-অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা। পরে দরপত্রের নথি, তথ্য-উপাত্ত কেনা ও জমা দেওয়ার সময় তিন মাস পিছিয়ে ৯ ডিসেম্বর করা হয়েছে।জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সমুদ্রে দ্রুতই অনুসন্ধান শুরু করা জরুরি। দেশের স্বার্থ সুরক্ষায় উৎপাদন-অংশীদারি চুক্তির বেশকিছু ধারায় সংস্কারেরও পরামর্শ দিয়েছেন তারা।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা যত দ্রুত নিজেদের দেশে গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে পারব, ততই ভালো। যদি নিজেদের দেশে আমরা ১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসেরও ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে সেটুকুই আমাদের আমদানি করা লাগবে না। আমদানি কমানো গেলে বৈদেশিক মুদ্রার ওপরও চাপ কম পড়বে।এক্ষেত্রে অফশোর বিডিংয়ের যে প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এটির সময় এগিয়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেছেন, আমরা যে প্রফিটটা পাব, সেটি হবে নগদ অর্থে, গ্যাসে নয়। এ জায়গায় আমাদের আপত্তি রয়েছে। তারা করপোরেট ট্যাক্স যদি কম দেয় বা না দেয়, সে ক্ষেত্রে তাদের ভাগের গ্যাসের দাম কমাতে হবে। কস্ট রিকভারির যেসব ক্লজ রয়েছে, সেগুলো সংশোধন করতে হবে।এবি 
    ব্যাংকিং সেক্টর সংস্কারে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: অর্থ উপদেষ্টা
    বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সংস্কারসহ আরও অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ব্যাংকিং সেক্টরে যে রিফর্ম করেছি, এক্সপোর্ট ও প্রমোশনে বিশ্বব্যাংক আমাদের সহায়তা করবে। তারা আমাদের সংস্কারে সহায়তা করবে এবং আমরা সহায়তা পাব।’প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার টিমের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাজেট সাপোর্ট, জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, ফার্টিলাইজার ইম্পোর্ট, খাদ্য, বন্যা পরবর্তী সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে।এছাড়া রোহিঙ্গা সাপোর্ট নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান সালেহ উদ্দিন আহমেদ।তিনি বলেন, ‘আমরা যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছি সবগুলোর ব্যাপারেই তারা খুবই ইতিবাচক এবং মোটামুটি কনক্রিট। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অন্যান্যরাও কো-অর্ডিনেট করবে। ফান্ড এবং অন্যান্য কোনো ব্যাপারে তাদের কার্পণ্য থাকবে না।’এইচএ

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু
    বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০ টায় খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০৭তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।  বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অনলাইনে সিন্ডিকেট সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের হত্যাকান্ডের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই থেকে অনিবার্য কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনর্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আরইউ
    তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাবের নেতৃত্বে রনি-তাসনুভা
    সরকারি তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাবের ২৪-২৫ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। নবগঠিত এই কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ রনি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ১৯-২০ বর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া তাসনুভা। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের মডারেটর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালমা বেগম, সাবেক সভাপতি মাহবুবুল হাসান রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা রাকিব, সদ্য সাবেক সভাপতি কানিজ ফাতেমা ও সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান এই কমিটি অনুমোদন করেন।নবনির্বাচিত সভাপতি হাবিবুল্লাহ রনি বলেন, সরকারি তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাব তিতুমীর কলেজের সহ-শিক্ষামূলক সংগঠনগুলোর মধ্য সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন। বিতর্ক ক্লাব "তিতুমীরের বাতাসে ছড়িয়ে পরুক বিতর্কের শুদ্ধতা" এই স্লোগানকে ধারণ করে বরাবরই যুক্তিনির্ভর,  বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে ভূমিকা রেখে চলেছে। আমি এমন একটি সংগঠনের দায়িত্বে আসতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনেমকরছি। আমি আমার নতুন কমিটির নেতৃত্বে  সবাইকে সাথে নিয়ে ক্লাবের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ক্লাবের কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে কাজ করব।আশা করছি, সবার সহযোগিতায় বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যুক্তিনির্ভর জ্ঞানচর্চার ক্ষমতাকে আরও শাণিত করতে পারব। সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া তাসনুভা বলেন, তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাবের সুনাম ধরে রাখার পাশাপাশি, নতুনদের এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করব। বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের গভীরতা বৃদ্ধি এবং নিজেদের মতামত স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করার ক্ষমতা বিকাশে আমরা কাজ করতে চাই।এছাড়াও ২৮ সদস্যের এই কমিটির বাকিরা হচ্ছেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তাসনুম খানম রাইসা, সহ-সভাপতি পদে ফৌজিয়া ইফফাত তন্বি, মশিউর রহমান, সোমা আক্তার,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে  মো. মোস্তাকিন, উম্মে হাবিবা,নিশাত ইয়াসমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এহতেশামুল ইসলাম নোমান,  বিতর্ক সম্পাদক নীলময় হৃদয়, দপ্তর সম্পাদক মো. ইমরান হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, পাঠচক্র, কুইজ ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক নুরুন আফরিন জিতু, ক্যারিয়ার ও কর্মশালা সম্পাদক সাইফুজ্জামান সৌরভ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মো. আরিফ মিয়া এবং কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন মাসুম বিল্লাহ, মহসিন সাগর, আব্দুল কুদ্দুস গালিব, মহসিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, অর্পিতা রায় লুসি, সারজিস হোসেন, সুমাইয়া আক্তার শোভা, সোলায়মান নাগিন, সেলিনা আক্তার৷ কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সদ্য সাবেক সভাপতি কানিজ ফাতেমা ও সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারি তিতুমীর কলেজ বিতর্ক ক্লাব৷ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন বিতর্ক অনুষ্ঠানে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে এই সংগঠন।আরইউ
    ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে’ ক্ষেপেছে ইবি
    দেশের শীর্ষ দুই সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগরে দুই ব্যক্তিকে অমানবিক নির্যাতন ও বিচার ছাড়াই আইন হাতে তুলে নিয়ে হত্যা করায় এর প্রতিবাদে চটেছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)’র সাধারণ শিক্ষার্থীরা।নারকীয় এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে করেছেন সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯টায় ক্যাম্পাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইবি শাখার ডাকে প্রায় কয়েকশো শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে এই সমাবেশে যোগ দেন। এসময় মিছিলটি জিয়া মোড় থেকে ডায়না চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘জেগেছে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘দিয়েছিতো রক্ত, আরও দিব রক্ত’, ‘ছাত্র সমাজের অঙ্গীকার, রুখে দিব অনাচার’, ‘একসাথে চলে না, শিক্ষা-সন্ত্রাস’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানা স্লোগানে উত্তপ্ত হয় ক্যাম্পাস। আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থী হাসানুল হক বান্না বলেন, ‘ফাহাদ ও তোফাজ্জল একই গাছের দুই ডাল। ফাহাদের বিচার হয়নি কিন্তু তোফাজ্জলের বিচার ৫ই আগষ্টের পরবর্তী এই বাংলাদেশে এর উপযুক্ত বিচার করতে হবে।এ বিষয়ে ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘এই আন্দোলন আমাদের চলমান থাকবে। যতদিন বৈষম্য বিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। একটি সুযোগ সন্ধানী গোষ্ঠী মব জাস্টিস এর নাম করে উস্কে দিচ্ছে, নৈরাজ্য তৈরীর চেষ্টা করছে তা ছাত্র সমাজের আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে। এই সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব নৈরাজ্য থামানোর উদাত্ত আহ্বান জানাই। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল রাতে তোফাজ্জল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শামীম আহম্মেদ নামের দুজনকে নারকীয় ভাবে হত্যা করে। এমআর
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাবির প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত পৌনে ৯ টা পর্যন্ত উপাচার্য লাউঞ্জে একটি জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং হয়। সেখানে ২ ঘন্টা আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান। তিনি ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত। নতুন এক বাংলাদেশ সৃষ্টির অগ্রযাত্রা শুরু হোক আজ থেকে।’এমআর

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    ২০ সেপ্টেম্বর বন্ধ হচ্ছে কোটি কোটি জিমেইল
    বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইমেল পরিষেবার মাধ্যমে জিমেইল। জিমেইল একটি বিনামূল্যে ওয়েবমেইল, যার সার্ভিস দেয় গুগল। জিমেইল এ POP3 এবং IMAP সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে আমাদের জীবনে এটি খুবই গুরুত্ব বহন করে। কেননা এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট, ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করা হয় ই-মেইলের মাধ্যমে। এছাড়া গুগল ড্রাইভ ও গুগল ফটোসের ব্যবহার তো আছেই।তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। সার্ভারের ওপর চাপ কমাতে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করেন তাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন।ইনঅ্যাক্টিভ জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ হচ্ছেগুগল জানিয়েছে, যেসব জিমেইল অ্যাকাউন্ট ২ বছরের বেশি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে আছে সেই সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হবে‌। এখনকার দিনে অনেকেই একাধিক জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন কিন্তু সেগুলো আর ব্যবহার করেন না। আর তাই সার্ভার স্টোরেজ কমাতে গুগল নিষ্ক্রিয় জিমেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অ্যাকাউন্ট বন্ধ নিয়ে পলিসি পেজে যা জানিয়েছে গুগলদুই বা তার বেশি বছর ধরে ব্যবহার না হওয়া অ্যাকাউন্টগুলোকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ধরনের অ্যাকাউন্টকে গুগল থেকে নোটিফিকেশন পাঠানো হচ্ছে এবং তাদের অ্যাকাউন্টগুলো সক্রিয় রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এরপরও যদি অনেক অ্যাকাউন্ট অব্যবহৃত অবস্থায় থাকে, তাহলে গুগল উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে যা করবেনআপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে অন্তত একবার লগ ইন করুন, ই-মেইল পাঠান, গুগল সার্ভিস ব্যবহার করুন, ইউটিউবে ভিডিও দেখুন, গুগল সার্চ করুন।এবি 
    মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
    জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ইন্টারনেটের দাম কমানোর পাশাপাশি সকল মোবাইল অপারেটরদের মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিসকক্ষে বাংলালিংক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।নাহিদ ইসলাম বলেন, তরুণ প্রজন্মের চাহিদার প্রেক্ষিতে ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে। পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর চেষ্টা করতে হবে।জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এসময় মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর জন্য বাংলালিংক প্রতিনিধিদের প্রতিও আহ্বান জানান উপদেষ্টা।এসময় বাংলালিংকের চিফ লিগ্যাল অফিসার জাহারাত আদিব চৌধুরী জনপ্রিয় এপ্লিকেশন টফির ব্যবহারে বিভিন্ন বাধার কথা উল্লেখ করলে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।এসএফ 
    জাগুয়ারের কারখানা পাহারা দিচ্ছে ‘রোভার’ নামের রোবট কুকুর
    যুক্তরাজ্যের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার’ (জেএলআর)-এর কারখানা পাহারা দিচ্ছে একটি ’রোবট কুকুর’। মূলত, কভেন্ট্রি ইলেকট্রিক কার ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটিতে স্টাফদের সাথে যোগ করা হয়েছে নতুন এই সদস্য। এক প্রতিবেদনে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, চার পা বিশিষ্ট রোবোটিক কুকুরটির নাম দেয়া হয়েছে ‘রোভার’। ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) তৈরি এবং পরীক্ষা করার ফ্যাসিলিটিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কুকুরটিকে।বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) তৈরির সময় অপারেশনাল সমস্যাগুলোকে গুরুত্বের সাথে চিহ্নিত করার জন্য ‘গার্ড ডগ’ হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছে এটিকে।রোবট কুকুরটি ‘বোস্টন ডাইনামিক্স’ তৈরি করেছে। রোভারের প্ল্যান্টে এটির নিজস্ব ক্যানেল রয়েছে, যেখানে এটি শিফটের মধ্যে ৫০ ভোল্টের ব্যাটারি টপ আপ করার জন্য নিজের ফিরে আসতে পারে।সাধারণ হাউন্ড কুকুরের স্বভাবের বিপরীত এই ‘রোভার’। কারণ- যেকোনো ধরনের উচ্চ শব্দ, অস্বাভাবিক দৃশ্য বা গন্ধ দ্বারা বিভ্রান্ত হয় না এই কুকুর। অটোমেশন ও জেএলআর-এর রোবোটিক্স বিভাগের কর্মকর্তা গঞ্জালো ইজার্ক রিনালডিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রকৌশলীদের নিরাপদে এবং বুদ্ধির সাথে কাজে সাহায্য করতে সক্ষম এই কুকুর।এসএফ
    জি-মেইলের স্টোরেজ যেভাবে বাড়াবেন
    তথ্য-প্রযুক্তির যুগে বর্তমানে বার্তা আদান-প্রদানের অন্যতম বাহনের নাম ই-মেইল। আর সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জিমেইল।আপনি যদি রেগুলার জিমেইল ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং আপনার মেসেজ ডিলিট করার অভ্যাস না থাকে তাহলে এক সময় আপনার স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যাবে। কেননা  আপনার জিমেইলের ইনবক্স অবশ্যই ইনফিনিটি স্টোরেজ সমৃদ্ধ না।তবে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আপনি চাইলে জিমেইলের এই জায়গাকে আরো একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন।আপনি যখন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে যাবেন তার কিছু দিন আগেই আপনাকে নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে যে আপনি খুব শীঘ্রই কোনো ই-মেইল পাঠানো কিংবা গ্রহণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন। সাথে সাথে আপনি কোনো ফাইল ও আপলোড করতে পারবেন না।জিমেইল স্টোরেজ খালি করার উপায়গুগল ড্রাইভে অনেকে ছবি, নথি রেখে দেন। সেখান থেকে ফাইল সাইজ দেখে দেখে ফাইল ডিলিট করে দিতে পারেন। অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করে দিন।   যে মেইলের অ্যাটাচমেন্ট আর প্রয়োজন নেই, সেটা ডিলিট করে দিন। কীভাবে?মেইল খুলে সার্চ বারে গিয়ে লিখুন, 'has:attachment larger:10M'- এটা লিখে সার্চ করলে ১০ এমবি-বেশি সাইজের যত অ্যাটাচমেন্ট রয়েছে তা দেখাবে, সেগুলো ধরে ডিলিট করে দিতে পারেন। এরপর ট্র্যাশ ফোল্ডার থেকেও ডিলিট করুন সব।স্প্যাম মেসেজেও সমস্যা। জিমেল অ্যাকাউন্টে স্প্যাম ফোল্ডারে অনেক মেসেজ আসে। ওই ফোল্ডারে গিয়ে মেলের তালিকার উপরে একটি বক্স রয়েছে, সেখানে টিক করে, সব মেসেজ একসঙ্গে ডিলিট করলেই অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যাবে স্টোরেজ।গুগল ফটোতে গিয়েও জায়গা বের করা যায় https://photos.google.com/settings- এখানে যান। সেখানে নিয়ে নিজের গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন। এবার upload quality-তে Original এর বদলে High Quality অপশন বেছে নিন। এর পরে আগের আপলোড করা ছবিও হাই কোয়ালিটি ইমেজ হয়ে বেশ কিছুটা জায়গা বাঁচাবে।জিমেইলের স্টোরেজ বাড়াবেন যেভাবেজিমেইলে জমা হওয়া মেইলের অধিকাংশই বহু মাস বা বছর পুরোনো। ইমেইল জমে থাকার ফলে দ্রুত স্টোরেজ শেষ হয়ে যায়। প্রতি জিমেইল অ্যাকাউন্ট ১৫জিবি স্টোরেজ ফ্রি দিয়ে থাকে গুগল। ফলে স্টোরেজ শেষ হলে বিপত্তি বাধে। অপ্রয়োজনীয় ইমেইলের ভিড়ে প্রয়োজনীয় মেইল খুঁজে পাওয়া অবশ্য দুরূহ। কিছু বিষয় অনুসরণ করলে দ্রুতই সব পুরোনো ইমেইল চিহ্নিত করে ডিলিট সম্ভব। যা স্টোরেজ বাড়াতে সহায়তা করবে।কীভাবে খুঁজবেন পুরোনো ইমেইলপ্রথম জিমেইল ওপেন করে সার্চবারে গিয়ে ‘ওল্ডার দ্যান’ লিখে সার্চ করতে হবে। সার্চ অপশন আসলে সেখানে ক্লিক করে টাইম ফ্রেম নির্বাচন করার সুযোগ থাকবে। সার্চ বারে ফাইলের আকার নির্বাচন করা যাবে। সহজে বড় অ্যাটাচমেন্ট থাকা ফাইল বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।ইমেইল ট্র্যাশডিলিট করতে চাওয়া ইমেইলের পাশে টিক মার্ক বক্সে থাকবে, সেখানে ক্লিক করতে হবে। স্ক্রিনে ট্র্যাশ আইকন আসবে। এটিতে ক্লিক করে নিতে হবে। বাম দিকে সাইডবারে ট্র্যাশ লেবেল থাকবে। সেখানে ‘এম্পটি ট্র্যাশ নাউ’ অপশনে ট্যাপ করতে হবে। ফলে চিহ্নিত সব ইমেইল স্থায়ীভাবে ডিলিট হয়ে যাবে। এভাবেই বাড়ানো যাবে স্টোরেজ।এইচএ
    হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই, মিলবে যেসব সুবিধা
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বিশ্বে জনপ্রিয় প্লাটফর্মের মধ্যে একটি হলো হোয়াটসঅ্যাপ। নিত্যনতুন উদ্ভাবনে যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নতিতে বেশ এগিয়ে রয়েছে এই প্লাটফর্মটি।সম্প্রতি এই প্লাটফর্মে মেটা এআই যুক্ত হওয়ায় মিলবে ভয়েস মোড ফিচারের সুবিধা।প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেটা এআইয়ের ব্যবহারে এখন থেকে ব্যবহাকারীরা সরাসরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। মেটা এআই ব্যবহারের সময় নিজেদের পছন্দমতো কণ্ঠস্বরও বেছে নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে তিনটি আলাদা ধরনের ব্রিটিশ ও দু’রকমের মার্কিন কণ্ঠস্বর থেকবে বেছে নেয়ার সুযোগ। এরপরে আরও চারটি কণ্ঠস্বর যোগ করা হতে পারে। যে কণ্ঠস্বরগুলো জনপ্রিয় ব্যক্তিদের। মেটা এআই ছাড়াও ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সুবিধা পেয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা।  এসএফ
    বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে বছরে লোকসান ৬৬ কোটি টাকা
    আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্পের একটি বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ওই স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য গঠিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এক পয়সাও জমা দিতে পারেনি। উল্টো বিএসসিএলের বছরে লোকসান হচ্ছে ৬৬ কোটি টাকা। তবে সবমিলিয়ে সরকারের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি।বিএসসিএলের অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ১৯ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে বিএসসিএল। এরপর ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে ১৮৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের অডিট রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করা হয়নি এবং বিএসসিএল দুই বছর কোনো আর্থিক বিবরণীও প্রকাশ করেনি।জানা গেছে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পরিকল্পনা কমিশনের কিছু আপত্তি সত্ত্বেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন করেন, যার ব্যয় পরে কমে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায় এসে দাঁড়ায়। এর মধ্যে এই প্রকল্পে সরকার দিয়েছে ১ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা এবং এইচএসবিসি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২ বছর মেয়াদে প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন ইউরো ঋণ নিয়েছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যখন এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়, তখন ১৫৫ মিলিয়ন ইউরোর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।এর মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার পর ২০১৮ সালে নবগঠিত বিএসসিএলের কাছে স্যাটেলাইটটি হস্তান্তর করে বিটিআরসি। তবে বিটিআরসির ২০২১ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেহেতু এইচএসবিসির সঙ্গে বিটিআরসির মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়েছিল, সেহেতু এই সম্পদের হিসেবও বিটিআরসির কাছেই রাখতে হচ্ছে, যদিও ভবিষ্যতে এ প্রকল্প থেকে কোনো সুফল আসবে না।এর ফলে ২০১৮ সালের মে মাসে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইটের জন্য প্রতি ছয় মাসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এইচএসবিসিকে প্রায় ৮৫ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়। এপ্রিল পর্যন্ত সুদসহ ১২টি কিস্তিতে এইচএসবিসিকে ১০১ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ২০২৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে প্রায় ৬৪ মিলিয়ন ডলারের আরও আটটি কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার ৪০ শতাংশ অবমূল্যায়নের কারণে বিটিআরসির ওপর ঋণ পরিশোধের বোঝা আরও জেঁকে বসেছে। এখন বিটিআরসিকে প্রতি বছর দুই কিস্তিতে ১৯০ কোটি টাকা থেকে ২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিটিআরসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আমরা জানি না কেন আমরা কোনো আর্থিক সামর্থ্য ছাড়াই জনগণের এই বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে রাজি হয়েছিলাম- ব্যাপারটা অনেকটা এমন যেন টাকার মূল্য কাঁঠাল পাতার সমান হয়ে গেছে এবং আমরা এমন এক ছাগলকে সেটা খাওয়াচ্ছি যা আমাদের কোনো উপকারেই আসবে না।এদিকে, স্যাটেলাইটের আয়ুষ্কাল ১৫ বছর- অর্থাৎ ২০৩৩ সালের পর এর অস্তিত্বই থাকবে না তাই প্রকল্পের খরচ পুনরুদ্ধারের সময়ও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের কারণে সরকারের দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হতে চলেছে। এই স্যাটেলাইটের বেশিরভাগ গ্রাহক স্থানীয় টিভি স্টেশন যাদের থেকে এই বিশাল প্রকল্পের ব্যয় তোলা সম্ভব নয়।বিটিআরসির আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, আপনি যখন ক কোম্পানির সম্পদ খ কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করবেন, তখন অ্যাকাউন্টিং নীতি অনুসারে খ কোম্পানি সমস্ত খরচ বহন করার কথা। কিন্তু এখানে, বিটিআরসি স্যাটেলাইটটি বিএসসিএলের কাছে হস্তান্তর করলেও এখনো তার ঋণ পরিশোধ করে যাচ্ছে।বিএসসিএলের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. জহিরুল ইসলামের ফোনে টেক্সট মেসেজ করা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত স্যাটেলাইট প্রকল্পটি পর্যালোচনা করা। আর্থিক কার্যকারিতা এবং লাভজনক কিনা সেটা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার পরে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল নাকি শুধুমাত্র মর্যাদা বাড়ানোর জন্যই এটি করা হয়েছিল তা পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত।তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চেয়ে বাইরের উৎস থেকে স্যাটেলাইট পরিষেবা নেয়া বেশি লাভজনক ছিল কিনা এবং তা নির্ধারণের জন্য ব্যয় অনুপাতে প্রাপ্য সুবিধা বিশ্লেষণ করা হয়েছিল কিনা? যে সময়ে প্রকল্পটি ভাবা হয়েছিল, তখন কি এর আর্থিক সম্ভাব্যতা এবং ব্যয় অনুপাতে সুবিধার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছিল?নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং এতে বাজারের চাহিদা, প্রতিযোগিতা এবং রাজস্ব সম্ভাবনাকে অতি মূল্যায়নসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল। যা পুরো প্রকল্প পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলে। এতে বলা হয় স্যাটেলাইটের সক্ষমতা ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সার্কভুক্ত দেশসমূহ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের কাছে বিক্রি করা যাবে। তবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সাত বছরেও বাংলাদেশ এসব দেশে বাজার তৈরি করতে পারেনি।বিএসসিএল সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপিত একটি নথি অনুসারে, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগে এই দেশগুলির সাথে ফ্রিকোয়েন্সি সমন্বয় করা উচিত ছিল বলে বলা হয়েছে। ফলে এসব দেশে ল্যান্ডিং রাইটস পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ফ্রান্সভিত্তিক থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের তৈরি স্যাটেলাইটটি সক্ষমতার চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম ব্যবহার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সি-ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সির মাত্র ৫৯ শতাংশ বিক্রি হয়েছে এবং কেইউ-ব্যান্ডের ২৫ শতাংশ বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। সি-ব্যান্ড বৃষ্টিতে ভালো করলেও এর জন্য বড় অ্যান্টেনার প্রয়োজন হয়, অন্যদিকে কেইউ-ব্যান্ড বেশি ব্যান্ডউইডথ দিতে পারলেও আবহাওয়া খারাপ থাকলে এর কাজ ব্যাহত হয়।তিনি আরও বলেন, অরবিটাল স্লটের জন্য রাশিয়াকে ৩৬ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পেমেন্ট অনেক বেশি ছিল। এই ধরনের স্লটের জন্য সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়। ফ্রিকোয়েন্সি সমন্বয় এবং পরিকল্পনার ব্যর্থতা ফলে এই প্রকল্প ব্যয়বহুল হয়েছিল। আরও ভালো ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যা এড়ানো যেত। স্যাটেলাইটটি ২০১৭ সালে উড্ডয়নের জন্য নির্ধারিত থাকলেও এক বছর দেরি হয়। এতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় খরচ হয়েছে।দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে গঠিত কমিটির প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অডিটের তথ্য অনুযায়ী, স্যাটেলাইটটি এখন নিঃসন্দেহে বিপুল ব্যয়ের যেসব প্রকল্প রয়েছে সেই তালিকার একটিতে পরিণত হয়েছে। এই প্রকল্পের বোঝা এখন জনগণের উপর চাপানো হচ্ছে, এবং সেই বোঝা দিন দিন বাড়ছে। যেহেতু এই প্রকল্পটি একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে অনুমোদিত হয়েছিল যার কোনো জবাবদিহিতা ছিল না, তাই এখন সময় এসেছে শীর্ষ কর্মকর্তারা যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা।তবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিগত সরকার পুরস্কৃত করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শ্যাম সুন্দর সিকদার, যিনি প্রকল্পটি চালু করার সময় টেলিযোগাযোগ সচিব ছিলেন, তাকে পরে বিটিআরসির চেয়ারম্যান করা হয় এবং শাহজাহান মাহমুদকে পরে স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করা হয়।এবি 

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ, তথ্য যাচাই করছে পুলিশ
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন (৩৫) নামে  এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার  ৬ শিক্ষার্থীকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা যেসব তথ্য দিয়েছে সেগুলো এখন যাচাই-বাছাই করছে পুলিশ।  গ্রেপ্তার হওয়া ছয় শিক্ষার্থী হলেন— পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মুত্তাকীন সাকিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ,  গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম।  শাহবাগ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়  হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব কে দিয়েছে, তোফাজ্জলকে প্রথমে কারা ধরে নিয়ে এসেছিল এবং হত্যাকাণ্ডে আরও কে কে জড়িত ছিল। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল তাও জানতে চাওয়া হয়। শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.খালিদ মনসুর বলেন, গ্রেপ্তার ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা আমাদেরকে বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়েছে এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা।গ্রেপ্তার ছয় জনকে কখন আদালত তোলা হবে এবং কত দিন রিমান্ড চাওয়া হবে জানতে চাইলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, দুপুরের পর তাদের আদালতে তোলা হবে। তবে আমরা রিমান্ড আবেদন করব নাকি গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেবেন এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। আমরা দুই ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে বলা যাবে। কী হয়েছিল বুধবার রাতেএখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, বুধবার সন্ধ্যায় তোফাজ্জল ফজলুল হক মুসলিম হলে ঢুকলে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে চোর সন্দেহে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি বলেন, যদি তাকে কিছু খেতে দেওয়া হয়, তাহলে তিনি আসল চোরদের কথা বলবেন।শিক্ষার্থীরা তাকে ভাত খাওয়ান। কিন্তু তিনি চোরদের বিষয়ে তথ্য দিতে পারেননি। এরপর ওই শিক্ষার্থীরা রাত ১০টা থেকে শুরু করে দুই ঘণ্টা তাকে মারধর করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। বিষয়টি প্রক্টরিয়াল টিমকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত তোফাজ্জলকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তোফাজ্জলের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শরীফা আক্তার জানিয়েছেন, তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার আগে তাদের কাছে ফোন করে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। শরীফা আক্তার বলেন, বুধবার আনুমানিক রাত ১০টার পরে একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে তোফাজ্জল আমাকে ফোন করে বলেন, ভাবি আমাকে মোবাইল চুরির দায়ে হলে আটকে রেখে আমার কাছে টাকা চায়। এ কথা বলার পরেই ফোন কেটে দেয়। পরবর্তীতে ওই নাম্বার থেকে আবার কল দিয়ে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আমি তোফাজ্জলের কে হই। পরিচয় বলার পরে তারা আমাকে বলেন, তোফাজ্জলকে মোবাইল চুরির দায়ে আটকে রেখেছি ওকে আপনারা ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এ সময় আমি তাদের বলি, ভাই ওর মাথায় সমস্যা আছে, ও আসলে চোর না। তোফাজ্জল একজন ভালো ছাত্র, অনার্স- মাস্টার্স শেষ করা ছাত্র, ওকে আপনারা ছেড়ে দিন। পরে তারা আমাকে বলেন, আপনার কথা রেকর্ড করা হচ্ছে। আপনি দুই লাখ টাকা পাঠান, না হলে তোফাজ্জেলকে আমরা মেরে ফেলবো। তখন তাদের আমি বলি, আমি মহিলা মানুষ, কীভাবে কী করব? আমি তো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। পরে তোফাজ্জলের মামা-চাচা যারা ঢাকায় আছেন তাদের মোবাইল নম্বর দিয়ে দেই। তিনি আরও বলেন, আমার কাছে টাকা দাবি করলে আমার অভিভাবক যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলি। এ সময় তারা ফোনে আমাকে বলেন, অভিভাবকরা যদি ফোন না ধরে তাহলে কিন্তু খবর আছে। পরে আমি আতঙ্কিত হয়ে চাচাতো ভাশুর এবং এলাকার চৌকিদারকে বিষয়টি জানালে তারা বলেন, তোফাজ্জল হয়তো কোনো পাগলামি করেছে, আপনি ফোন বন্ধ করে ঘুমান। এ ছাড়া তারা তোফাজ্জলের এক মামার কাছে ফোন দিয়ে আরও ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল খুললে খবর পাই তোফাজ্জলকে মেরে ফেলা হয়েছে। মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে পিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী নামক এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। এছাড়া তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তোফাজ্জল বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছেন।তোফাজ্জল আগে থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ২০১১ সালে বাবা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ও ২০১৪ সালে তার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বড় ভাই নাসির উদ্দিনের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করেছেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের পর থেকেই তোফাজ্জল মানসিকভাবে অসুস্থ হতে শুরু করেন। এ সময় তাকে ৩ মাস রিহ্যাবেও রাখা হয়েছিল। এরপর তোফাজ্জল কিছুটা সুস্থ হলে ২০২৩ সালে তার বড় ভাই নাসির উদ্দিনও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন তিনি। এতে তোফাজ্জল আবারও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন।এসএফ 

    প্রবাস

    সব দেখুন
    দক্ষিণ কোরিয়ায় সাগরে ডুবে নরসিংদীর দুই যুবকের মৃত্যু
    দক্ষিণ কোরিয়ায় বুসান সমুদ্র সৈকতে সাগরে ডুবে মারা গেছেন নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার দুই যুবক। গতকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কর্মস্থল বন্ধ থাকায় বন্ধুদের নিয়ে সমুদ্র নেমে পানিতে তলিয়ে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।জানা যায় নিহতরা হলেন-বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের মো. মুজিবুর রহমানের ছেলে সাকিবুর রহমান সঞ্জিব (২৩) ও টেকপাঁড়া গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে সৈকত হাসান শান্ত (২২)।স্বজনরা জানান, কর্মসংস্থানের জন্য সাকিবুর রহমান সঞ্জিব ২০২০ সালে ইপিএস এর আওতায় বৈধপথে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। আর ৪ মাস আগে বৈধপথে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান সৈকত হাসান শান্ত। এর মধ্যে কিছুদিন আগে সঞ্জিব বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে পুনরায় কর্মস্থল দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। গতকাল সোমবার ছুটি থাকার সুবাধে অন্যান্য প্রবাসী বন্ধুদের নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামেন সাকিবুর রহমান সঞ্জিব। এসময় সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। বিকেল ৩টায় দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধার কর্মীরা সঞ্জিবের লাশ উদ্ধার করেন। সঞ্জিবের লাশ উদ্ধার করার প্রায় ২ ঘণ্টা পর বিকাল ৫টায় একই স্থান হতে তীব্র ঢেউয়ের কারণে ভেসে যাওয়া সৈকত হাসান শান্ত (২২) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে তাদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছেন দুই পরিবারের সদস্যরা। নিহত শান্তর বাবা মো. বাচ্চু মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘সোমবার রাতে আমরা জানতে পারি শান্ত আর বেঁচে নেই। মাত্র ৪ মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় যায় সে। কিন্ত সুখ হয়তো তার কপালে বেশিদিন ছিল না। আল্লাহ তাকে নিয়ে গেছেন। সরকার যেন দ্রুত আমার ছেলের লাশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় এই অনুরোধ করছি।’  সাকিবুর রহমান সঞ্জিবের চাচা আতিকুর রহমান জীবন জানান, তারা সোমবার দুপুরে তারা জানতে পারেন সঞ্জিব বন্ধুদের সাথে সাগরে গোসল করতে নেমে স্রোতে সাথে তলিয়ে যায়। পরে সেখানের উদ্ধার কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। সরকারের প্রতি দাবি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সঞ্জিবের লাশ দেশে আনার জন্য সহযোগিতা করে। বেলাবো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘দুই যুবক নিহত হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি এবং নিউজেও দেখেছি। কিন্তু পরিবারের পক্ষ হতে কেউ অবহিত করেন নি। পরিবারের পক্ষ হতে সহযোগিতা চাইলে সরকারিভাবে মরদেহ আনার জন্য সহযোগিতা করা হবে।’  এসএফ

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    শাপলা ডাটার স্বাস্থ্য উপকারিতা
    বর্ষাকালে গ্রাম-গঞ্জের বিলে আর ঝিলে শাপলা উঁকি দেয় দেশের জাতীয় ফুল শাপলার। পানিতে থাকা শাপলার সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সবাইকে। শাপলা শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এই ফুলের ডাঁটা সবজি হিসেবে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে অনেক আগে থেকেই। বাজারেও মিলে এই শাপলার ডাঁটা। শাপলা ডাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম শাপলা লতায় ১ দশমিক ৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১ দশমিক ১ গ্রাম আঁশ, ৩ দশমিক ১ গ্রাম ক্যালরি ও প্রোটিন, ৩১ দশমিক ৭ গ্রাম শর্করা, ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৭, ফসফরাসও মেলে শাপলা ডাঁটায়। বলা হয়ে থাকে, আলুর চেয়েও সাত গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে শাপলা ডাঁটায়। এটি রান্না করাও বেশ সহজ, আর সময়ও লাগে বেশ কম। শাপলা ডাঁটায় থাকা খাদ্য উপাদানের উপকারিতা১) শরীরের কোষ গঠন, ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন। শাপলা ডাঁটা থেকে প্রোটিন পাওয়া যায় যা শরীরের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করে।২) শাপলা ডাঁটাতে থাকা ভিটামিন বি১ শরীরের কার্বোহাইড্রেটকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এটি গ্লুকোজ বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয়। শাপলা ডাঁটার পুষ্টি উপাদানগুলো ইনসুলিনের স্তর স্থিতিশীল রেখে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।৩) ভিটামিন বি৭ বা বায়োটিন একটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এটি শরীরের বিপাক এবং কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। শাপলা ডাঁটা থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এই বায়োটিন পাওয়া যায়।৪) শাপলা ডাঁটাতে রয়েছে একটি বিশেষ উপাদান ফ্লেভনল গ্লাইকোসাইট। এটি মাথার রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।৫) শাপলা ডাটার উপাদান সমূহ স্নায়ু, পেশী, হার্টের কার্যক্রমে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।৬) যকৃতের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে শাপলা ডাঁটা। এটি যকৃতের ক্ষতি প্রতিরোধ করে যকৃতকে সুস্থ রাখে।৭) শাপলা ডাঁটা খেলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। এটি ত্বকের কোষ গুলোকে হাইড্রিয়েটিং এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে।৮) চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও ভূমিকা রাখে শাপলা ডাঁটা। নিয়মিত এ সবজি খেলে চুল হবে প্রাণবন্ত এবং মসৃণ।৯) শাপলাতে আছে গ্যালিক এসিড নামক এনজাইম, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।১০) শাপলা ডাঁটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম হাড়, দাঁত মজবুতসহ নানাবিধ কাজ করে থাকে।১১) অ্যাসিডিটি, রক্ত আমাশয়, চুলকানি ইত্যাদি প্রকৃতির রোগ প্রতিরোধ হয় শাপলা ডাঁটা খেলে।এইচএ

    Loading…